ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এলসি খোলায় শিথিলতা চায় বিএবি

এলসি খোলায় শিথিলতা চায় বিএবি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মাঝে দেশে ডলার সংকটের সময়ে এলসি বা ঋণপত্র খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বর্তমান সময়ে এলসি খোলার ক্ষেত্রে শিথিলতা চায় বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠকে এই দাবি জানিয়েছে বিএবির একটি প্রতিনিধি দল। এ সময়ে রপ্তানি আয় দ্রুত দেশে আনার জন্য তাদের কাছে সহযোগিতা চান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। বৈঠকে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিএবি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নর ও মুখপাত্র এতে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ব্যাংক খাতের চলমান ডলার সংকট থেকে কীভাবে উত্তরণ করা যায়, এ বিষয়ে আলোচনা হয়। ডলার সংকটের কারণে আমদানির ঋণপত্র খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ব্যাংকগুলোর এলসি খোলা কমে যায়। এতে ব্যাংকগুলো ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এলসিতে যেসব কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, তা শিথিল করার জন্য অনুরোধ জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে জানানো হয়। বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, চলমান ডলার সংকটে ব্যাংকগুলো পূর্ণমাত্রায় এলসি খুলতে পারছে না। এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কবে নাগাদ এ সংকট কেটে যাবে, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে তারা। এ সময় গভর্নর দেশে যেসব রফতানি আয় আসেনি, তা দ্রুত আনার জন্য বলেন। এসব আয় দেশে আসলে সংকট কেটে যাবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন গভর্নর।

জানা গেছে, ডলার সংকট এড়াতে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেগুলো হচ্ছে- ব্যাংকের ডলার ধারণের সীমা (এনওপি) হ্রাস, রপ্তানিকারকের প্রত্যাবাসন কোটায় (ইআরকিউ) ধারণকৃত ডলারের ৫০ শতাংশ নগদায়ন, ইআরকিউ হিসাবে জমা রাখার সীমা কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনা এবং অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ইউনিটে স্থানান্তর।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত