বন্ধ থাকা ১৬ টেক্সটাইল মিল পিপিপির মাধ্যমে চালুর উদ্যোগ

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

দেশের বস্ত্রকলগুলোর হাজার হাজার শ্রমিকের পুনর্বাসনে জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ হওয়া বস্ত্রকল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) বন্ধ থাকা ১৬টি মিল চালু করার কথা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে চারটি মিলের কার্যক্রম ১৪ ফেব্রুয়ারিতে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদের ‘বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক এ তথ্য জানানো হয়েছে। কমিটির সভাপতি মির্জা আজমের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, শাহীন আক্তার খাদিজাতুল আনোয়ার, তামান্না নুসরাত (বুবলী) এবং মোহাম্মদ হাবিব হাসান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) বন্ধ হওয়া ১৬টি মিল পিপিপির মাধ্যমে চালু করার বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি; বাংলাদেশ পাট করপোরেশনের (বিজেসি) সার্বিক কার্যক্রম; বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী এলাকায় গৃহীত প্রকল্পের বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া, বিগত সভায় গৃহীত সুপারিশ বাস্তবায়নের সর্বশেষ অগ্রগতিও পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) বন্ধকৃত ১৬টি মিল পিপিপি’র মাধ্যমে চালুর কার্যক্রম আশানুরূপ অগ্রগতি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। তার মধ্যে কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলস খুব দ্রুত চালু করা হবে এবং আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চারটি মিলের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে সভায় উল্লেখ করা হয়। বৈঠকে বিজেসি’র বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি দখলকৃত জমির সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করে অবৈধ দখলে থাকা অব্যবহৃত জমি বিক্রি করে অর্জিত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী এলাকায় গৃহীত প্রকল্পসমূহ এবং টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট স্থাপনের কার্যক্রমের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি না করে দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।