ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাবারকে কৃষি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতিসহ ১১ দাবি

রাবারকে কৃষি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতিসহ ১১ দাবি

রাবারকে কৃষি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতিসহ ১১ দফা দাবি জনিয়েছে বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। তাদের দাবিগুলো হলোÑ ৮০-এর দশকে বরাদ্দকৃত প্লটগুলোর চুক্তির নবায়ন; রাবার চাষিদের স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দান; বিদেশ হতে উচ্চ ফলনশীল বীজ আমদানি; রাবারকে কৃষি পণ্য ঘোষণা; দেশে উৎপাদিত রাবার পণ্যের ওপর ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রত্যাহার; স্থানীয় রাবার শিল্পের সুরক্ষায় আমদানি পর্যায়ের রাবারের শুল্ক কর বৃদ্ধি; হেডম্যান রিপোর্টের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করা; অবৈধ দখল বন্ধ করা; জমি হস্তান্তর ও নামজারি ব্যবস্থা করা এবং রাবার রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুহাম্মদ হারুনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব মনসুর আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফ উল্লাহ, সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাবেক সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের সদস্য মো. সেলিম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, রাবার বাংলাদেশের সাদা সোনা নামে পরিচিত এবং দেশের বাজারে রাবারের দ্রব্যাদি যেমন- যানবাহনের টায়ার, টিউব, জুতা, হোসপাইপ, ফোম, খেলার সামগ্রীসহ শিল্প কারখানায় রাবারের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য রাবার উৎপাদনকারী দেশ এটিকে কৃষি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও আমাদের দেশে এখনও তা বাস্তবায়িত হয়নি। যার ফলে এ খাতের উদ্যোক্তারা সরকার প্রদত্ত কৃষি বিষয়ক সকল প্রণোদনা সহয়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি রাবার বাগানে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী বাহিনীর তা-বের কারণে রাবার শিল্প ধ্বংসের মুখোমুখি হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিশেষ করে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের যোগসাজোসে স্থানীয় লোকজন এ শিল্পের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। যা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের আশু পদক্ষেপ অপরিহার্য। বিশেষকরে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিএর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে সরকাররের পক্ষ হতে উদ্যোগ গ্রহণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি ও সার্বিক সহয়তা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, ৬০ এর দশকে আমদানিকরা বীজের চারা থেকে বর্তমানে আমাদের উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালতি হচ্ছে। তবে এ ধরনের বীজে ফলন ক্ষমতা কম থাকায় আমাদের উদ্যোক্তারা আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন। ফলে দেশের বাইরে থেকে উচ্চ ফলনশীল বীজ আমদানিতে কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত