বাংলাদেশ বিজনেজ সামিটের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশ, দেশের সম্ভাবনাময় খাত এবং ব্যবসার পরিবেশ তুলে ধরতে চায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সেই লক্ষ্যেই ঢেলে সাজানো হয়েছে আসন্ন বাংলাদেশ বিজনেস সামিটকে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোরের সঙ্গে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এই মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, হাই-টেক পণ্য উৎপাদনে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। থাইল্যান্ড এরই মধ্যে এই সেক্টরে বিশেষ করে অটোমোবাইলে ভালো সুনাম অর্জন করেছে। তাই, উভয় দেশের জন্যই এই সেক্টরে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। থাই বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এটি একটি ভালো সুযোগ হতে পারে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ই কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
আগামী ১১ থেকে ১৩ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে যোগ দিতে থাইল্যান্ডের সরকারি কর্মকর্তারা ও ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানান এফবিসিআই সভাপতি। বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর বাংলাদেশ বিজনসে সামিট আয়োজনের জন্য এফবিসিসিআইকে অভিনন্দন জানান। থাই রাষ্ট্রদূত এসময় এফবিসিসিআই সভাপতির নেতৃত্ব, কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর বলেন, গত বছর আমরা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছি। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এখন নতুন উচ্চতায়। আগামী মার্চে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে বলেও জানান থাই রাষ্ট্রদূত। এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি এমএ মোমেন, মো. আমিন হেলালী, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, সালাউদ্দিন আলমগীর, সাবেক রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান, মিনিস্টার কাউন্সেলর এবং থাই দূতাবাসের মিশনের ডেপুটি হেড প্যানম থংপ্রায়ুন, এফবিসিসিআই পরিচালখ মো. নাসির মজুমদার, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।