পুঁজিবাজারে দরপতন যেন থামছেই না। শেয়ার বিক্রির চাপে লেনদেন কমে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। গত মঙ্গলবারের মতো সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস গতকাল বুধবারও দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমে ১১ পয়েন্টে নেমেছে। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম এবং লেনদেন। সিএসইতে সোমবার সূচক সামান্য বৃদ্ধির পর মঙ্গল ও বুধবার টানা দুদিন দরপতন হল। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকার পাশাপাশি আস্থা সংকটের কারণে পুঁজিবাজারে লেনদেন ক্রমাগতভাবে কমছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, গতকাল বুধবার বাজারটিতে ৩১০টি প্রতিষ্ঠানের ৫ কোটি ২৯ লাখ ৫ হাজার ২৬০টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এ কেনাবেচা থেকে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৩১ কোটি ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। আগের কর্মদিবস গত মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৪৩৩ কোটি ১০ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের কর্মদিবসের চেয়ে লেনদেন কিছুটা কমেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনকৃত কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ২৭টি কোম্পানির শেয়ারের, বিপরীতে কমেছে ১৩৭টি আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। অর্থাৎ, ৫ গুণ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। অধিকাংশ খাতের শেয়ারের দাম কমায় ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১১ দশমিক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে। ডিএসইএস শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২২২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- সোনালী পেপার, জেনেক্স ইনফোসিস, শাইনপুকুর সিরামিকস, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বিডি ল্যাম্পস, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল, এপেক্স ফুটওয়ার, আমরা নেটওয়ার্কস, জেমিনি সি ফুড এবং ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই ২৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৩৪ পয়েন্টে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ ৯১ হাজার ৯৮২ টাকার শেয়ার। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৬০টির ও ৫৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।