ব্যাংকিং ডিপ্লোমা ছাড়া সিনিয়র অফিসার ও সমমানের পদ থেকে মহাব্যবস্থাপক ও সমমানের পদ পর্যন্ত কোনো ধাপে পদোন্নতি পাবেন না ব্যাংক কর্মকর্তারা। এসব ধাপে পদোন্নতিতে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পাস বাধ্যতামূলক করে সম্প্রতি যে সার্কুলার বাংলাদেশ ব্যাংক জারি করেছে, সে সিদ্ধান্ত থেকে সরবে না নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি। তবে পরীক্ষায় পাস নম্বর কমানো, কার্যকরের সময় এক বছর পেছানো ও পরীক্ষা পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনা হবে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (আইবিবি) আয় বাড়াতে সম্প্রতি সিনিয়র অফিসারের পরবর্তী পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ডিপ্লোমার দুই পর্বে পাস বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত হয়। আইবিবির ১৪৯তম কাউন্সিল সভার সিদ্ধান্তের আলোকে ৮ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সমালোচনার মধ্যে গতকাল সোমবার আইবিবির কাউন্সিলের ১৫০তম সভা ডাকা হয়। ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর এ সংক্রান্ত জারিকৃত সার্কুলার অনুযায়ী ব্যাংকে কর্মরত অফিসার ও সমমানের পদ থেকে মহাব্যবস্থাপক ও সমমানের (প্রধান নির্বাহীর অব্যবহিত নিচের এক স্তর ব্যতীত অন্য সব কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হোক না কেন) পদ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত মোট নম্বরের মধ্যে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষা পাসের জন্য একটি নির্দিষ্ট নম্বর বরাদ্দ রাখতে হতো। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নতুন নির্দেশনা ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করার কথা। তবে পদোন্নতিতে ব্যাংকিং ডিপ্লোমার দুই পর্ব বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি এক বছর পেছানো হতে পারে। আর সবচেয়ে বেশি ফেল করা বিষয় অ্যাকাউন্টিংকে বাধ্যতামূলক থেকে ঐচ্ছিক করা হবে। এছাড়া বর্তমানে প্রতি বিষয়ে পাস নম্বর ৫০ শতাংশ থেকে কমানো হবে বলেও জানা গেছে। বর্তমানে দুই পর্বে ৬০০ করে মোট ১২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। এদিকে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষার হলে প্রকাশ্যে বই দেখে লেখা নিয়েও সমালোচনা রয়েছে। তাই ডিপ্লোমা পরীক্ষা নকলমুক্ত করতে প্রয়োজনে প্রশাসনের লোকজন থাকবে বলেও সভায় আলোচনা হয়। সিলেবাস আরও বাস্তবভিত্তিক করা হবে। এছাড়া ব্যাংকিং ডিপ্লোমার নামও পরিবর্তন হতে পারে।