শ্রমিকদের মজুরি ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা করার দাবি

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

গার্মেন্ট খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের মাসিক মজুরি বাড়িয়ে ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় লিখিত বক্তব্যে এ দাবি উত্থাপন করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সদেকুর রহমান শামীম।

শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন, বর্তমানে একজন শ্রমিকের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও বাসা ভাড়া মিলিয়ে ১৪ হাজার টাকার বেশি প্রয়োজন হয়। বাজারে শুধু চালের পেছনেই প্রতিটি পরিবারের খরচ বেড়েছে ২ হাজার ১০০ টাকা। এ অবস্থায় বর্তমান মজুরি দিয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৮ সালে গার্মেন্ট শ্রমিকদের মাসিক ন্যূনতম বেসিক বেতন নির্ধারণ করা হয় ৪ হাজার ১০০ টাকা, বাসা ভাড়া ২ হাজার ৫০ টাকা, খাদ্য ভাতা ৯০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৬০০ টাকা ও যাতায়াত ভাতা ৩৫০ টাকা মিলিয়ে সর্বনিম্ন মোট মজুরি ধরা হয় ৮ হাজার টাকা। বর্তমানে এ টাকা দিয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করতে দ্রুত মজুরি বোর্ড গঠন করতে হবে। বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির বর্তমান এ উচ্চ হার ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফল বলে যে দাবি সরকার করছে সেটাকে ‘অজুহাত’ হিসেবে দেখছেন এ অর্থনীতিবিদ। আনু মোহম্মদ বলেন, মূল্যস্ফীতির জন্য যুদ্ধকে অজুহাত হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এ সংকট তৈরি হতো না যদি সরকার গ্যাস, তেলসহ জ্বালানি ইস্যুতে পুরো মাত্রায় আমদানি নির্ভর না হতো। নিজের সম্পদ বের করলে এটি হতো না। কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকার কমিশনের লোভে তারা এটি আমদানি নির্ভর করে ফেলেছে। সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে প্রাপ্য এ মজুরি মেনে না নিলে জুলাইর পর ৩০ হাজার টাকা করার দাবিতে মাঠে নামবে শ্রমিকরা। টাকার মান যেভাবে কমছে তাতে শ্রমিকদের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। আগের ১০ হাজার টাকা দিয়ে এখন আর ১০ হাজার টাকার পণ্য পাওয়া যায় না। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের যে অজুহাত সরকার দিচ্ছে তাতে সামনের দিনেও টাকার মান আরো কমে যাবে। তখন ২৫ হাজার টাকার পণ্য কিনতে ৩০ হাজার টাকাই লাগবে।