ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দেশের বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি নিম্নগামী

দেশের বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি নিম্নগামী

দেশের বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি সাধারণত ২ অঙ্কের ঘরেই থাকে। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে বেসরকারি খাতে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা। মাসটিতে ডিসেম্বরের চেয়ে কম ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত ডিসেম্বরে খাতটির ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথমবার সেটি কমে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে নেমে আসে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২০২০ সালের মে মাসে ঋণ প্রবৃদ্ধি নামে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে। ওই বছরের জুন থেকে তা আবার বাড়তে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩২ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ড অনুযায়ী বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ কমে দাঁড়াবে ২৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের জন্য বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া লক্ষ্যমাত্রা গত সাত মাসের (জুলাই-জানুয়ারি) কোনোটিতেই অর্জন করতে পারেনি ব্যাংক খাত। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে এ খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির হার ছিল সবচেয়ে নিম্নগামী। জানুয়ারিতে অর্জিত হয়েছে ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ, যা চলতি অর্থবছরের অন্য মাসের তুলনায় কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের পর ঋণের চাপ বেড়েছে। ঋণের সুদহার বেঁধে দেয়ার ফলে অনেকে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এ সময়ে কেউ কেউ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছেন। সবকিছু ঠিকঠাক চললেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি সব পাল্টে দেয়। যুদ্ধের কারণে ব্যাপক হারে বেড়েছে ডলারের দাম। এতে ঋণপত্রের মূল্য বেড়ে যায়। আমদানিকারকদের ঋণ নেওয়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। তবে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করায় বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশে। পরের মাস আগস্টে সেটি আরও কিছুটা বেড়ে ১৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে ওঠে। সেপ্টেম্বরে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত