ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘নারীরা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে’

‘নারীরা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে’

মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আয়েশা সিদ্দিকী বলেছেন, ‘নারীদের উন্নয়নে সরকার বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে, যার ফলে নারীরা এখন আগের তুলনায় অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে; যা আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারি। বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটালে রূপান্তর করেছে। আগামীতে এই বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরিত হবে।’ আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে গত সোমবার রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদে বেসরকারি সংস্থা লাইট হাউজের আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ‘মিডিয়া অ্যাডভোকেসি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আয়েশা সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, মিডিয়ার মাধ্যমে সরকারের নারী উন্নয়নে গৃহীত উদ্যোগগুলোর প্রচার ও প্রসার ঘটবে এবং নারীসমাজ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। অনুষ্ঠানে লাইট হাউজের নির্বাহী প্রধান মো. হারুন আর রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, নারীপক্ষের পরিচালক অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের এডোলেন্স চেন্স বিহাবিয়ার ম্যানেজার সোহরাব হুসেন প্রমুখ।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ২০২৩ উদযাপন এর প্রেক্ষাপট ও থিম ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ এই থিমটি নারীর অবস্থা সম্পর্কিত কমিশনের আসন্ন ৬৭তম অধিবেশনের অগ্রাধিকার থিমের সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ- লিঙ্গ সমতা অর্জনের জন্য ডিজিটাল যুগের উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এবং শিক্ষা এবং সব নারীদের ক্ষতমায়নের পথ সুগম হবে। ইউনাইটেড নেশনস অপজারভেন্স অব আইডব্লিউটি নারী ও মেয়েদের স্বীকৃতি দেয় এবং রুপান্তরমূলক প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩ এ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য প্রসারিত করার ওপর ডিজিটাল লিঙ্গ ব্যবধানের প্রভাব অন্বেষণ করবে।

গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে বেসরকারি সংস্থা লাইট হাউজের নির্বাহী মো. হারুন আর রশিদ জানান, সদ্য বিদায়ি ২০২২ সালে দেশে ৯ হাজার ৭৬৪ জন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪ হাজার ৩৬০ জন। ধর্ষণের পর হত্যার করা হয়েছে ৪৫০ জনকে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৭ হাজার ২৭টি। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪ হাজার ৩৬০ জন এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৪৫০ জনকে। আর দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৪০ জন। যৌতুকের কারণে মারধর করা হয়েছে ২ হাজার ৬৭৫ জনকে এবং যৌতুক না পেয়ে হত্যা করা হয়েছে ১৫৫ জনকে।

অপহরণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮৭০ জনকে। এসব বিষয়ে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ২৭টি মামলা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত