ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়েই বিজনেস সামিট

অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়েই বিজনেস সামিট

দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) আয়োজনে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজনেস সামিট। সামিটের শুরুর দিনে অব্যবস্থাপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি সামিটের অন্যতম আকর্ষণ ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপোরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

সামিটে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সাতটি দেশের মন্ত্রী, ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ১৭টি দেশের ২০০টিরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নিয়েছেন। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে এই সামিটের আয়োজন করেছে এফবিসিসিআই।

সরেজমিন দেখা গেছে, বিজনেস সামিটের প্রথম দিনে গেট দিয়ে ঢোকা থেকে শুরু করে প্রায় সব ক্ষেত্রেই অব্যবস্থাপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। সামিটে প্রবেশের আগে সাংবাদিক ও অতিথিদের কার্ড নিয়ে অব্যবস্থাপনা ছিল সবচেয়ে বেশি। কেউ কেউ কার্ড পেলেও অনেক সাংবাদিক ও অতিথি অভিযোগ করেন, তারা সামিটের আইডি কার্ড পাননি।

সাংবাদিক ও অতিথিরা বলেন, এফবিসিসিআইয়ের সিস্টেম অনুযায়ী আমরা রেজিস্ট্রেশন করেছি। কিন্তু এখনো তারা আমাদের কার্ড দিতে পারেনি। দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলেছেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে। কিন্তু সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আইডি কার্ড পাইনি। এছাড়া কিছু কিছু অতিথির জন্য ব্যাগের ব্যবস্থা থাকলেও আমাদের ব্যাগ দেয়া হয়নি। ১০ জন ব্যবসায়ীকে ক্রেস্ট দেয়ার কথা থাকলেও এখনো ক্রেস্ট বানাতে পারেনি। পুরো অনুষ্ঠান আয়োজকদের অব্যবস্থাপনায় হাবুডুবু খাচ্ছে।

দুপুরের খাবারের লাউঞ্জে গিয়েও অব্যবস্থাপনা দেখা গেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরও দেশি-বিদেশি অতিথিদের খাবার দিতে পারেনি আয়োজকরা। যুক্তরাজ্য থেকে আসা এক অতিথি বলেন, এখানে বুফে সিস্টেম নেই। তারাই খাবার সার্ভ করছে। এজন্য এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে দ্রুতই খাবার দেবে।

সামিটে স্পন্সর করা এক কোম্পানির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিনিধি বলেন, আমাদের কোম্পানি সামিটে স্পন্সর করেছে। আমাদের একটা ক্রেস্ট দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু আয়োজকরা নাকি এখনো ক্রেস্ট বানাতে পারেনি। তাছাড়া দুপুরের খাবারের জন্য দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছি। কিন্তু তারা খাবার দিতে পারছে না। তারা বারবার বলছে, খাবার চলে আসবে, কিন্তু কোনো খবর নেই। সবশেষে তারা জানিয়েছে, খাবার শেষ হয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন, এত টাকা স্পন্সর নিয়ে তারা করলটা কি। খাবার লাউঞ্জে আয়োজকদের এক প্রতিনিধি বলেন, যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তাদের মিস ম্যানেজমেন্টে এমনটা হয়েছে। অনেক কিছুতেই অভিযোগ আসছে। যেটা আমাদের জন্য বিব্রতকর। এরইমধ্যে বিষয়টি উপরে জানানো হয়েছে।

এফবিসিসিআই স্বাধীনতার ৫০ বছরে অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অর্জন এবং রপ্তানি ও স্থানীয় ভোক্তা বাজারের পাশাপাশি বিনিয়োগ সক্ষমতা বিদেশিদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছে। বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে এফবিসিসিআইয়ের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিভিন্ন কৌশলগত বিষয়ে তিনটি প্লেনারি সেশন, ১৪টি প্যারালাল সেশন, বিজনেস টু বিজনেস মিট, নেটওয়ার্কিং সেশন, একটি ওপেন হাউস রিসেপশন এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের জন্য গাইডেড ট্যুর রয়েছে এ সামিটে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত