ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস বড় দরপতনের পর দ্বিতীয় কার্যদিবস গতকাল সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলিছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এরপরও ডিএসইতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রতিষ্ঠান ক্রেতা সংকটের মধ্যে পড়ে। ক্রেতা সংকটে পড়া এসব প্রতিষ্ঠানের দাম ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) এসে ঠেকেছে। এর মধ্যে নতুন করে ফ্লোর প্রাইসে এসে ঠেকেছে সাতটি প্রতিষ্ঠান। ফ্লোরপ্রাইসে আটকে যাওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।

প্রতিদিন দিনের সর্বনিম্ন দামে বা ফ্লোর প্রাইসে এসব প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ শেয়ার ও ইউনিট বিক্রির আদেশ আসছে। বিপরীতে শূন্য পড়ে থাকছে ক্রয় আদেশের ঘর। ফলে যারা দিনের সর্বনিম্ন দামে বিক্রির চেষ্টা করছেন তাদের সিংহভাগ ব্যর্থ হচ্ছেন। এতে শেয়ারবাজারের লেনদেনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরুতে হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের শেষপর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৯৫টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে পারছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৮টির। আর ২০১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম কমার তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সাতটির শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ কমে ফ্লোর প্রাইসে এসে ঠেকেছে। এর মাধ্যমে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৭টি প্রতিষ্ঠান ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকে। এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৪৩ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৫১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে বাজারটিতে লেনদেন বেড়েছে ১৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা।