বাণিজ্য সহজীকরণ এবং বিভিন্ন বন্দরে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া দ্রুততর করার লক্ষ্যে চালান কায়িক পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি খালাস প্রদানের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অথোরাইজড ইকোনমিক অপারেটর (এইও) সুবিধা চালু করেছে। তবে এক্ষেত্রে জটিল শর্ত আরোপের ফলে অনেক তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তা এই সুবিধা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছেন না। এমনটাই মনে করে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিকারক ও প্রস্তুতকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
এ অবস্থায় এইও আবেদন প্রক্রিয়া ও শর্তগুলো সহজ করতে সম্প্রতি এনবিআরকে চিঠি দিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। চিঠিতে বলা হয়, আবেদন প্রক্রিয়া ও শর্তগুলো সহজ করা হলে অনেক প্রতিষ্ঠান এই সুবিধা গ্রহণ করে দ্রুততার সঙ্গে পণ্য চালান খালাস করতে পারবে। পাশাপাশি ক্রেতার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন করে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারবে। এছাড়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে বিরাজমান বিভিন্ন জটিলতা নিরসন হবে। ফলশ্রুতিতে দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন কাস্টমস স্টেশনের মাধ্যমে তৈরি পোশাক শিল্পের আমদানি করা পণ্য চালান খালাসের ক্ষেত্রে নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। খালাস প্রক্রিয়ার এই জটিলতার কারণে রপ্তানিকারকরা সময়মতো তাদের পণ্য খালাস করতে না পারায় অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রপ্তানি কার্যক্রম সম্পাদনে ব্যর্থ হচ্ছেন। ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে পণ্য প্লেনে পাঠাতে হচ্ছে।