পোশাক শিল্প টেকসই করতে নবায়নযোগ্য অর্থনীতি প্রয়োজন
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
দেশের পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে সবার সহযোগিতা চেয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকারি নীতি পোশাক শিল্পের বর্জ্যভিত্তিক অর্থনীতিকে নবায়নযোগ্য অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনের গ্র্যান্ড বলরুমে চতুর্থ সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ ও লডস ফাউন্ডেশন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির একটি দেশ বাংলাদেশ। দেশের পোশাক শিল্পকে দুটি উপায়ে টেকসই করা যায় বলে আমি মনে করি। একটি হলো- পোশাক শিল্পের বর্জ্যভিত্তিক অর্থনীতিকে নবায়নযোগ্য অর্থনীতিতে রূপান্তরে সরকারী নীতি। দ্বিতীয়টি হলো- টেকসই পোশাক শিল্পের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার সহযোগিতা।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার পোশাক শিল্পের বর্জ্যভিত্তিক অর্থনীতিকে নবায়নযোগ্য অর্থনীতিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে বিভিন্ন উদ্যোগও ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে। সবার সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এ ক্ষেত্রে আরও ভালো ফল অর্জন করতে পারি।
এ সময় তিনি পোশাক শিল্পকে টেকসই করার ক্ষেত্রে সবাইকে একীভূত হতে নিজেদের মধ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির পেছনে পোশাক শিল্পের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির প্রধান গন্তব্যস্থল হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্রও আনন্দিত। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধান (বিদেশি) বিনিয়োগকারী হতে পেরে গর্বিত।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের টেকসই পোশাক শিল্পের অন্যতম উৎপাদন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এখনো বহু শ্রমিক সংগঠন তাদের মৌলিক অধিকার চর্চার স্বাধীনতা পায় না। এজন্য আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের অধিকার সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের বিশ্বাস, সক্ষম জনশক্তি সরাসরি সাসটেইনেবিলিটির সঙ্গে জড়িত। তাই গার্মেন্টস ও অন্যান্য খাতের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমিকদের অধিকারও নিশ্চিত করতে হবে।
দেশে শতভাগ পোশাক কারখানায় নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পরিবেশেবান্ধব কারখানায় বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। সার্কুলার অর্থনীতি সবুজ পরিবেশ বাড়াতে সহায়তা করবে। আমার সবার জন্য সমান সুযোগ চাই। ব্যবসার টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতের দায় শুধু উৎপাদকের একার নয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিতি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, কেডিএসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান সেলিম রহমান, এপিক গ্রুপের নির্বাহী চেয়ারম্যান রঞ্জন মাহতানী, লডস ফাউন্ডেশনের শ্রম অধিকার কর্মসূচির প্রধান নওরীন চৌধুরী প্রমুখ।