সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস গতকাল সোমবারও দরপতনের মধ্য দিয়ে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। দিনভর সূচক ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে এ দিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৩ পয়েন্ট। তবে, অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূচক পতন থেকে রক্ষা পেয়েছে। ডিএসইতে সূচক পতনের পাশাপাশি ভয়াবহভাবে কমেছে লেনদেনও। আগের দুই দিনের ধারাবাহিকতায় কমতে কমতে ২০ মার্চ ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৪৪ কোটি ৬৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা। অথচ এক সপ্তাহ আগেও ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭০০ কোটি টাকার বেশি। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইসের কারণে ২ শতাধিক কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে না। এ কারণে ক্রেতাহীন হয়ে দিন দিন লেনদেনের গতি কমছে। দ্রুত এই অবস্থার উন্নতি প্রয়োজন। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সোমবার ডিএসইতে সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন। অপর দিকে সিএসইতে কমেছে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন। এর ফলে গত বৃহস্পতিবার উত্থানের পর রোববার ও সোমবার টানা দুই দিন পুঁজিবাজারে দরপতন হলো। ডিএসইর তথ্যমতে, গতকাল ডিএসইর মোট ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২৮ হাজার ৭৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেন হয়েছে ৩৪৪ কোটি ৬৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫২ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ১০৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এদিন প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩ দশমিক ১৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে, ডিএসই ৩০ সূচক ১ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।