ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এনবিআরকে চিঠি

ঝুঁকির মুখে মোবাইল ফোন উৎপাদকদের বিনিয়োগ

ঝুঁকির মুখে মোবাইল ফোন উৎপাদকদের বিনিয়োগ

‘পণ্যের উপকরণে উচ্চ শুল্কায়ন ও শুল্ক জটিলতা এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় ঝুঁকি মুখে রয়েছে সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজন শিল্পের বিনিয়োগ। এর ফলে বর্তমান সরকারের প্রযুক্তি নির্ভর সেলুলার ফোন রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাঠানো ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা-সংক্রান্ত চিঠিতে এ কথা বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গত ২১ মার্চ পাঠানো চিঠিতে জব্বার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল সংশ্লিষ্ট এসআরওতে না থাকায় একদিকে উৎপাদনকারীরা রেয়াতি সুবিধা পাচ্ছেন না, অন্যদিকে পণ্যের উপকরণে উচ্চ শুল্কায়নের ফলে উৎপাদন দুরূহ হওয়া দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়েছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত প্রযুক্তিনির্ভর সেলুলার ফোন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বাড়ানো, সেলুলার ফোনের যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন, প্রজ্ঞাপনের বাস্তবিক কার্যকারিতা, সরাসরি উৎপাদনের উৎসাহ দেয়া, প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষা এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। উৎপাদনকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষা ও বিকাশে রেয়াতি সুবিধা দেয়ারও দাবি জানান তিনি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ রক্ষার্থে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে আরোপিত মূল্য সংযোজন করের জটিলতা এড়ানোর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মূসক থেকে অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাব করেন। সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মূসক সর্বনিম্ন ৩ থেকে ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এর ফলে দেশীয় শিল্প বিকাশের মাধ্যমে রিজার্ভ ও রাজস্ব বাড়াবে, উৎসাহ বাড়াবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়, আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক কাঠামো শক্তিশালী হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, সেলুলার মোবাইল ফোন উৎপাদনের জন্য লোডেড প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড (পিসিবি) অ্যাসেম্বলি ও মাদারবোর্ড ফর সেলুলার ফোন যন্ত্রাংশগুলো সুনির্দিষ্ট নামে না থাকার কারণে এইচএস কোডের মাধ্যমে কম মূল্যে শুল্কায়ন হচ্ছে। এর ফলে দেশীয় উৎপাদনকারীর বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উপকরণগুলো নিজস্ব কারখানায় উৎপাদনে সক্ষম এবং আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীর মধ্যে সুষম বাজার প্রতিযোগিতার জন্য সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত