নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমছে, বাজারে স্বস্তি
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
রোজার নবম দিনে এসে কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমার কারণে স্বস্তিতে ক্রেতারা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজারগুলোতে ডিম, ব্রয়লার মুরগি, পাম অয়েলের দাম কমেছে। চিনি ও তেলের দাম সামান্য কম। একই সঙ্গে কমেছে মাঝারি মানের চাল, প্যাকেট আটা, খোলা ময়দা, মসুর ডালের দাম। তবে আলু, শুকনো মরিচ, আদার দাম বেড়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তরফে জানানো হয়েছে এসব তথ্য।
সপ্তাহজুড়ে রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ান বাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভীবাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা ও মিরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দাম সংগ্রহের পর এসব তথ্য জানিয়েছে টিসিবি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে টিসিবির তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঝারি মানের চালের দাম কমেছে গত ২৭ মার্চ থেকে। ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমে পাইজাম, লতা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫৬ টাকা, যা আগে ছিল ৫০ থেকে ৫৬ টাকা। প্যাকেট আটার দাম ৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ কমেছে গত ৩১ মার্চ থেকে। এতে ১ কেজি প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা, যা আগে ছিল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা। খোলা ময়দার দাম কমেছে। ৪ শতাংশ কমে এক কেজি খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬২ টাকা, যা আগে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। ১ এপ্রিল কমল খোলা পাম অয়েলের দাম। ১ দশমিক ৯২ শতাংশ কমে পাম অয়েলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, যা আগে ছিল ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা। শনিবার ছোট দানার মসুর ডলারের দাম কমল। ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে ছোট দানার মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, যা আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ২৯ মার্চ থেকে রসুনের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এতে ১ কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকা, যা আগে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আমদানি করা রসুনের দামও কমেছে। ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা। গত ২৯ মার্চ থেকে আমদানি করা হলুদের দাম কমেছে। ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে ১ কেজি আমদানি করা হলুদ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। গত ২৭ মার্চ দারুচিনির দাম ৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমেছে। এতে ১ কেজি দারুচিনি ৪২০ থেকে ৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৫০ থেকে ৫২০ টাকা। ধনের দামও কমেছে। ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ কমে এক কেজি ধনে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা। তেজপাতার দাম কমেছে। ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমে ১ কেজি তেজপাতা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।
শনিবার ব্রয়লার মুরগির দামও কমেছে। ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা, যা আগে ছিল ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। ডিমের দাম কমেছে। ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ কমে ১ হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। চিনির দামও কমেছে। ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ কমে ১ কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৪ টাকা, যা আগে ছিল ১১৫ থেকে ১১৮ টাকা। অন্যদিকে দেশি আদার দাম ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এতে আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১২০ থেকে ২৬০ টাকা। দেশি শুকনো মরিচের দাম ৫ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা। আমদানি করা শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এতে এক কেজি আমদাানি করা শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০০ থেকে ৪৪০ টাকা। আর আলুর দাম ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকা, যা আগে ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা।