আসন্ন ঈদ সামনে রেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের কাছে আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে আরো দেড় হাজার কোটি টাকা সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। অর্থ সহায়তা সংক্রান্ত একটি চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠিয়েছে সংগঠনটি। গত ৩০ মার্চ বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান স্বাক্ষরিত চিঠি সরকারের কাছে নগদ সহায়তার জন্য এই আবেদন জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি অনেকটা স্থবির। টিকে থাকার এই সংগ্রামে কঠিন সময় পার করছে দেশের রপ্তানি খাত। বিশ্ব মন্দার কারণে অধিকাংশ কারখানাতে পর্যন্ত কার্যাদেশ নেই, ফলে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ক্যাপাসিটি নিয়ে চলছে উৎপাদন, যা রপ্তানি করে মাস শেষে শ্রমিকদের বেতনের টাকা সংস্থান করা কঠিন, আবার যা রপ্তানি হচ্ছে সে বিলও ক্রেতাগোষ্ঠী যথা সময়ে পরিশোধ করছে না। সামনের মাসেই রয়েছে বেতন ও ঈদ বোনাসের বিশাল চাপ, সময়টাও খুবই স্পর্শকাতর। যথা সময়ে বেতন-বোনাস দেয়ার ব্যর্থতায় ঘটে যেতে পারে শ্রম অসন্তোষ। এহেন পরিস্থিতিতে সরকারের তথা অর্থ বিভাগের সহযোগিতা ছাড়া এ চাপ সামলে ওঠা খবই কঠিন হয়ে যাবে।
চিঠিতে বলা হয়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের রপ্তানি ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা বাবদ বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা (পাট ব্যাতীত)। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম কিস্তিতে ২৮ আগস্ট ২০২৩ ছাড় করা হয়েছিল ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা, অক্টোবর-ডিসেম্বরের দ্বিতীয় কিস্তির দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছিল ২৭ ডিসেম্বর ২০২২। যদিও ওই সময়ে ক্লেইম জমা হয়েছিল ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।