পোশাক রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধিতে ভাটা লেেেগছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় হয়েছে তিন দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এক দশমিক ০৪ শতাংশ কম। গতকাল রোববার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। মার্চ মাসে ওভেন পোশাক খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে এক দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। আর, নীটওয়্যার পোশাক খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে দুই দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। এতে গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর দুটি খাত মিলে মোট প্রবৃদ্ধি কমেছে ১ দশমিক ০৪ শতাংশ।
তবে, ২০২২-২৩ সালে জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে পোশাক খাতে রপ্তানি বেড়েছে ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ। অঙ্কে এর পরিমাণ ৩৫ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১-২২ সালের একই সময়ে ছিল ৩১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারী ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, মার্চে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল চার বিলিয়ন ডলার। সে হিসেবে আমরা লক্ষ্যমাত্রা থেকে কিছুটা পিছিয়েছি। এটা আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম যে, মার্চে প্রবৃদ্ধি কমতে পারে। তিনি বলেন, আমরা বলে আসছিলাম, চলমান অর্থনৈতিক মন্দা বা অর্থনৈতিক স্থবিরতার প্রভাব আমরা দেখতে পাব। অন্যান্য যে সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়েছে; ব্যয় বেড়ে গেছে, মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, সেগুলোর জন্য কিন্তু বিক্রি কমে গেছে। ক্রয় কমে গেছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণেই আমাদের সামগ্রিক রপ্তানি আয়ের পরিমাণ বেড়েছে। আমরা যে লাভ করেই রপ্তানি চার বিলিয়ন বাড়িয়েছি, তা না। আমাদের ব্যয়, মুদ্রাস্ফীতি, সব কিছু মিলেই এই রপ্তানি হয়েছে। কাজেই সামনের দিনগুলোতেও এই বিষয়টি সতর্ক থেকে আমাদের পরিস্থিতি উত্তরণে এগিয়ে যেতে হবে।
