বিশ্ব জুড়ে লেবেলিং বর্জ্য থেকে প্রায় তিন লাখ ৪৩ হাজার টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়, যা সাপ্লাই চেইন থেকেই নির্মূল করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে সরকারগুলোকে স্থানীয় ফ্যাশন লেবেলিংয়ের পূর্বশর্তের আধুনিকীকরণ এবং আরো টেকসই ডিজিটাল লেবেল ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে একটি বৈশ্বিক জোটে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান গত মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বাক্ষর করেছেন। এ সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ জানিয়েছে, চিঠিতে সরকারগুলোকে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল লেবেলিং গ্রহণের অনুমোদন দেয়ার জন্য জাতীয় প্রবিধান সংশোধন করার বিষয়ে আহ্বান জানানো হয়েছে। এই চিঠি স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে বিজিএমইএ তার টেকসই রূপকল্প ২০৩০ এর সঙ্গে নিজেকে একীভূত করল।
বিজিএমইএর টেকসই রূপকল্প ২০৩০ এর অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে বৈশ্বিক ফ্যাশন সাপ্লাই চেইনে সাসটেইনেবিলিটি, সার্কুলারিটি ও স্বচ্ছতার প্রসার ঘটানো। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- প্রথমত ডিজিটাল লেবেলিং উল্লেখযোগ্যভাবে লেবেলিং বর্জ্য হ্রাস ও কার্বন নির্গমন প্রচেষ্টায় সহায়তা করবে। অনুমান করা হয় যে, বিশ্বজুড়ে লেবেলিং বর্জ্য থেকে প্রায় ৩ লাখ ৪৩ হাজার টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়, যা কি না সাপ্লাই চেইন থেকেই নির্মূল করা যেতে পারে।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, বৈশ্বিক ফ্যাশন শিল্পের চাহিদা অনুসারে প্রতি বছর ৯১ লাখ ৭ হাজার কিলোমিটার লেবেল টেপ উৎপাদিত হয়, যা দিয়ে বছরে ১২ বার পৃথিবী ও চাঁদকে সংযুক্ত করা যাবে।
বিজিএমইএর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল লেবেলিং সল্যুশন, উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করে ফ্যাশনকে আরো প্রতিযোগিতামূলক ও সাশ্রয়ী করে তোলার পাশাপাশি লিড টাইমও কমাবে এবং ক্রেতাদের পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে সাহায্য করবে। এভাবে নিশ্চিত হবে পণ্যের স্বচ্ছতা ও ট্রেসেবিলিটি।
আরো বলা হয়, চক্রাকার অর্থনীতিতে পণ্যের সঙ্গে তথ্য রাখা হলে পণ্যের স্থায়ীত্ব বাড়বে। ফলস্বরূপ পণ্যের পুনঃবিক্রয়, আপসাইক্লিং অথবা রিসাইক্লিং করার সুযোগ তৈরি হবে।