ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নকল ও ভেজাল কসমেটিকসে বাজার সয়লাব : ভোক্তার ডিজি

নকল ও ভেজাল কসমেটিকসে বাজার সয়লাব : ভোক্তার ডিজি

দেশের প্রতিটি বাজার নকল ও ভেজাল কসমেটিকস পণ্যে ভরপুর হয়ে গেছে। তাই সারাদেশে নকল ও ভেজাল প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসব অভিযানে বাধা দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে ভোক্তা অধিদপ্তরের কসমেটিকস পণ্য আমদানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর মৌলভীবাজারে ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছে, এটি খুবই দুঃখজনক, উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, পরবর্তী সময়ে যেসব বাজারে অভিযান পরিচালনা হবে, সেখানে কোনো ঝামেলা হলে বাজার ব্যবসায়ী কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, এখন এমন কোনো কসমেটিকস নেই যা নকল হচ্ছে না। অনেক দেশের ভালো কিছু ব্র্যান্ডকেও নকল করা হচ্ছে। সেগুলোতে এমন সব কেমিক্যাল ব্যবহার হচ্ছে, যেগুলোতে ত্বকের ক্যানসার থেকে শুরু করে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। অন্যান্য পণ্যের তুলনায় কসমেটিকসে ভেজালের অবস্থা খুব ভয়াবহ।

সফিকুজ্জামান বলেন, গত বছর একটা মিটিংয়ে কিছু ফাইন্ডিংস পেয়েছিলাম। এতে দেখা গেছে, কসমেটিকস মূলত প্যাকেটজাত হয়, খোলা বিক্রি হয় না। কিন্তু প্যাকেটজাত পণ্যগুলোতে বিএসটিআইয়ের কোনো মোড়ক থাকে না। কসমেটিকসের বড় একটা অংশই আমদানি হয়। কিন্তু অভিযানে দেখা গেছে, যে পণ্যগুলো বিদেশ থেকে আসছে, সেগুলোর কোথাও আমদানিকারকের তথ্য নেই। এমনকি খুচরা বাজার থেকে কিনতে গেলে বিএসটিআইয়ের কোনো সিল থাকে না। প্রতিটি পণ্য দেশে আসলে অবশ্যই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন থাকতে হবে। দামটাও সেভাবেই নির্ধারণ হবে।

ঈদ কেন্দ্র করে দাম বাড়ালে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে বিশেষ কিছু পণ্য অনেক বিক্রি হয়, এর মধ্যে কসমেটিকস অন্যতম। কসমেটিকস সারা বছর যা বিক্রি হয়, ঈদেই তারচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। কিন্তু ঈদকে টার্গেট করে ব্যবসায়ীরা নতুন করে মূল্য বাড়ায়। অনেক ক্ষেত্রে একই পণ্যের ওপর একাধিক ট্যাগ ব্যবহার করে। দোকানের পেছনে একটি জায়গা থাকে, সেখানে নিয়ে ইচ্ছে মতো দাম নির্ধারণ করা হয়। ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান নিয়মিত চলবে। কোনো ধরনের নকল, ভেজাল বা মূল্যবৃদ্ধি হলে অভিযানের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় সারা দেশের বিভিন্ন মার্কেটের কসমেটিকস ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত