জোহরা ন্যাচারাল অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহিনুজ্জামানকে ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক ও চেয়ারম্যান নিয়োগ-সংক্রান্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নামে যে প্রজ্ঞাপন বের হয়েছে তা ভুয়া। গতকাল বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে এ তথ্য। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মো. জেহাদ উদ্দিনের নাম ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে (নম্বর: ৯৫.০০.০০০০.৪০৬ ৩৩.১৫৯.১৯-৭৪৮, তারিখ: ১৫ চৈত্র ১৪২১ বঙ্গাব্দ/২৯ মার্চ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ মূলে সৃজিত) একটি জাল প্রজ্ঞাপন এ বিভাগের নজরে এসেছে। ‘বর্ণিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে জনৈক মো. শাহিনুজ্জামান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জোহরা ন্যাচারাল অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লি., প্রধান কার্যালয়, প্লট নং-৩ডি, পেডেল-৬, রুম নং-৬/১০, কাব্যকস সুপার মার্কেট, কারাওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫-কে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ হতে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে- মর্মে উল্লেখ রয়েছে যা ভুয়া, বানোয়াট, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজিত, পদ্ধতিগতভাবে ভুল এবং আইন পরিপন্থি’ বলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে কয়েকটি বিষয় বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-
প্রজ্ঞাপনে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যে কর্মকর্তার নাম ও স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে (মো. জেহাদ উদ্দিন, উপ-সচিব) তিনি উক্ত তারিখে সরকারি কাজে বিদেশে অবস্থানরত ছিলেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নথি বা ই-নথি সিস্টেমে এ প্রজ্ঞাপনের কোনো অস্তিত্ব নেই। প্রজ্ঞাপনে ব্যবহৃত স্মারক নম্বর-৯৫.০০.০০০০.৪০৬. ৩১৫৯.১৯-৭৪৮-টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নয়। প্রজ্ঞাপনে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক আইন, ২০১৪ এর ১১ ও ১২ ধারা’ উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ এ শিরোনামে বাংলাদেশে কোনো আইন নেই। প্রজ্ঞাপনে ‘সিনিয়র সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ’ উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে বর্তমানে সিনিয়র সচিব বলে কেউ নেই। যেসব বেসরকারি ব্যাংকে সরকারের মালিকানার অংশ নেই সেসব বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে সরকার কর্তৃক পরিচালক ও চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয় না।
সার্বিক বিবেচনায় এ প্রজ্ঞাপনটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই ভুয়া, ভিত্তিহীন ও জাল প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে গত ৩১ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।