৯ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি ১৫ কোটি ডলার

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

দেশে উৎপাদিত প্লাস্টিক পণ্য চলতি অর্থবছরে প্রথম ৯ মাসে ১৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলার রপ্তানি হয়েছে। চলতি মাসে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ইপিবি বলছে, গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১১ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। সে হিসেবে রপ্তানি বেড়েছে ৩৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এছাড়া লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশে। কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি দামেই আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্য বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। মূলত এ কারণেই রপ্তানিতে এমন প্রবৃদ্ধি এসেছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ি জুলাই-মার্চ পর্যন্ত পিভিসি ব্যাগ রফতানি হয়েছে ২ কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ১ কোটি ৮৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। সে হিসেবে পণ্যটির রফতানি ৩৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়েছে।

অন্যদিকে নয় মাসে প্লাস্টিক বর্জ্য রফতানি হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ১ কোটি ৬৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার। অর্থাৎ এক্ষেত্রে রপ্তানি ১৩ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে গেছে। এর বাইরে অন্যান্য প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি ৪৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ বেড়েছে। নয় মাসে এসব পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ৮ কোটি ৮ লাখ ডলার। প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল কিছুটা কম।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, ‘এটা আমরা প্রত্যাশাই করেছিলাম। কারণ কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেড়েছে। ফলে টাকার অংকটাও বেড়ে গেছে। এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ কোটি ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির। তবে এখন মনে হচ্ছে এটি ২২ কোটি ডলার ছাড়াবে। আমরা ২০৩০ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির আশা করছি। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি ১০ শতাংশ বেশি হবে।’