ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্বর্ণের আউন্স ছাড়াল দুই হাজার ডলার

স্বর্ণের আউন্স ছাড়াল দুই হাজার ডলার

গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হয়েছে। এতে এক আউন্স স্বর্ণের দাম দুই হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এক বছরের বেশি সময় পর স্বর্ণের আউন্স দুই হাজার ডলারের উপরে উঠল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধার পর গত বছরের মার্চে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দুই হাজার ডলার ছাড়িয়েছিল। এরপর এই প্রথম দামি এই ধাতুটির দাম আবার দুই হাজার ডলার স্পর্শ করলো। তথ্য পর্যালোনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৯৮০ ডলার। সেখান থেকে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস ৩ এপ্রিল লেনদেন শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই দাম কমে প্রতি আউন্স ১ হাজার ৯৫০ ডলারে নেমে যায়।

অবশ্য এই দরপতনের পর ওই দিনই ঘুরে দাঁড়ায় স্বর্ণ। ৩ এপ্রিল লেনদেনের এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৯০ ডলারে উঠে যায়। পরের কার্যদিবস ৪ এপ্রিল তা আরো বেড়ে ২ হাজার ২৪ ডলারে ওঠে। পরের কার্যদিবস ৫ এপ্রিলও স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এতে ৫ এপ্রিল লেনদেনের এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩২ ডলারে উঠে যায়। তবে শেষ দুই কার্যদিবসের লেনদেনে স্বণের দাম কিছুটা কমেছে। এরপরও প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দুই হাজার ডলারের ওপরে থেকে সপ্তাহ শেষে হয়েছে। সপ্তাহ শেষে প্রতি আউন্স স্বণের দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮ দশমিক শূন্য ২ ডলার। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে দামি এই ধাতুটির দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৪০ ডলার। আর মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১০ দশমিক ৭২ ডলার।

এর আগে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। রাশিয়া আগ্রাসন শুরু করার পর পরই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থকে। এতে ৮ মার্চ প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৫২ ডলারে উঠে যায়। অবশ্য গত বছরের মার্চ মাস শেষ হওয়ার আগেই সোনার আউন্স দুই হাজার ডলারের নিচে নেমে যায়।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে অন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দেওয়ায় দেশের বাজারেও দামি এই ধাতুটির দামে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রতি ভরি স্বর্ণের গহনার দাম লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সর্বশেষ গত ২ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৯ হাজার ১৪৪ টাকা করা হয়েছে। এতে এক ভরি স্বর্ণের গহনার দাম লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ১ লাখ ৭ হাজার ৭৭৫ টাকা দিতে হচ্ছে। দেশের বাজারে এর আগে কখনো এত দামে স্বর্ণের গহনা বিক্রি হয়নি। ভালো মানের স্বর্ণের পাশাপাশি ২ এপ্রিল থেকে বাড়ানো হয়েছে সব ধরনের স্বর্ণের দাম। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৪৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৬৫৩ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়ে ৮১ হাজার ১২৩ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৬৭ হাজার ৫৯৩ টাকা করা হয়েছে। এই দামের সঙ্গে মজুরি ও ভ্যাট যোগ করে দেশের বাজারে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত