প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে জ্বালানি খাতের কোম্পানি লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করেছে। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটি এ তহবিলের ৯৭ কোটি টাকা বা ৬৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে। কোম্পানিটির আইপিও তহবিল ব্যয়-সংক্রান্ত প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যানুসারে আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত ১৫০ কোটি টাকার মধ্যে যন্ত্রপাতি আমদানি ও স্থাপন বাবদ ৯৮ কোটি, ব্যাংকঋণ পরিশোধ বাবদ ৪৬ কোটি ৪ লাখ ৩০ হাজার ২৮২ ও আইপিও প্রক্রিয়ার খরচ বাবদ ৫ কোটি ৯৫ লাখ ৬৯ হাজার ৭১৮ টাকা ব্যয় করার কথা ছিল।
এর মধ্যে যন্ত্রপাতি আমদানি বাবদ গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটি ৪৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ১০৭ টাকা ব্যয় করেছে, যা এ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের ৪৬ দশমিক ১০ শতাংশ। ব্যাংকঋণের জন্য বরাদ্দ করা পুরো অর্থই কোম্পানিটি ব্যয় করেছে। অবশ্য আইপিও’র খরচ বাবদ এখনো কোম্পানিটির ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩১২ টাকা অব্যবহৃত রয়েছে, যা এ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আইপিও প্রসপেক্টাস অনুসারে যন্ত্রপাতি বাবদ বরাদ্দ করা অর্থ গত ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্যয় করার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। সব মিলিয়ে গত ফেব্রুয়ারি শেষে কোম্পানিটি আইপিও তহবিল থেকে ৯৭ কোটি ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৯৫ টাকা ব্যয় করেছে। অব্যবহৃত রয়েছে ৫২ কোটি ৯৮ লাখ ৮ হাজার ২০৫ টাকা। সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) লুব-রেফ বাংলাদেশের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময় যা ছিল ১ টাকা ২ পয়সা। অন্যদিকে সর্বশেষ দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৯ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির পুনর্মূল্যায়িত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকায়, পুনর্মূল্যায়িত ছাড়া যা ৩৩ টাকা ৯৭ পয়সা। সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৪১ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির পুনর্মূল্যায়িত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৩ টাকা ৯০ পয়সায়, পুনর্মূল্যায়িত ছাড়া যা হয় ৩৭ টাকা ৯৫ পয়সা। আগের হিসাব বছর শেষে কোম্পানিটির পুনর্মূল্যায়িত এনএভিপিএস ছিল ৩২ টাকা ৩৭ পয়সা, আর পুনর্মূল্যায়িত ছাড়া যা ছিল ৩৬ টাকা ৪৫ পয়সা। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্যও শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।