ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের বিকল্প নেই

বললেন ড. আতিউর রহমান
ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের বিকল্প নেই

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের বিকল্প নেই। যুগের গতির সঙ্গে টিকতে হলে আমাদের এই পথে যেতে হবে। কাগজের অর্থ ডিজিটালে রূপান্তরের ক্ষেত্রে দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সবচেয়ে বড় কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘কাগজের অর্থ ডিজিটালে রূপান্তর : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিটাল মুদ্রা গ্রহণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আতিউর রহমান বলেন, কাগজের অর্থ ডিজিটালে রূপান্তর হলে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো দ্বিগুণ হতো। বর্তমানে প্রবাসীরা দুই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠায়। ডিজিটাল হলে সেটা বেড়ে চার বিলিয়ন ডলার হতো। একই সঙ্গে হুন্ডি ব্যবসা কমে যেত। বাংলাদেশ ব্যাংকের সেন্টাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি) কার্ক্রম একটু ধীরগতিতে এগোচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্যাশলেস পেমেন্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে মতিঝিল এলাকায় ক্যাশলেস কার্যক্রম হয়েছে। ধীরে ধীরে এটার প্রসার হবে।

তিনি আরো বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন তিন হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিং ইন্টার অপারেবল সিস্টেম চালু হলে গ্রাহকরা আরো বেশি সুবিধা পাবে। মোবাইল ব্যাংকিং এখন মানুষের হাতের নাগাল এসেছে। একজন রিকশাওয়ালাও দিনে দুইবার বাড়িতে টাকা পাঠান। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বড় অবদান রয়েছে। স্কলারস বাংলাদেশ সোসাইটি, ইমাজিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড এবং টিয়ার ওয়ান সলিউশন লিমিটেডের উদ্যোগে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল এস কাদির বলেন, ডিজিটাল ব্যাংকিংকের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় জায়গাটা হচ্ছে বিশ্বাসের। বিকাশ গ্রাহকের টাকা সুরক্ষিত রাখে। বিকাশের টাকা কোথায় বিনিয়োগ হয় প্রতিদিনের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইমাজিং ক্রেডিট বেটিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান জামালউদ্দিন আহমেদ। এতে বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোট ৬ বছরে পণ্য আমদানি রপ্তানি খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। ডিজিটালাইজেশন হলে এই পাচার রোধ সম্ভব হবে।

এছাড়াও প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইটি প্রফেশনাল ইন অস্ট্রেলিয়া ড. মিজানুর রহমান, মেলবোরর্নের স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ল’ সিকিউ ইউনিভার্সিটির মাসুদ ঈসা, মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল এবং উন্নয়ন সামান্যর ইমেরিটাস ফেলো খন্দকার শাখাওয়াত আলী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত