এক বছরের ব্যবধানে দেশের ব্যাংকিং খাতে জনবল বেড়েছে ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, যেখানে নারী কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গত সোমবার ব্যাংকিং খাতের লৈঙ্গিক সমতাবিষয়ক বাংলাদেশ ব্যাংকের ষাণ¥াসিক প্রতিবেদনে এ চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। এ প্রতিবেদন বলছে, ব্যাংকে নারী কর্মীদের অবস্থান মধ্যম ও উচ্চ পর্যায়ের তুলনায় প্রারম্ভিক পর্যায়ে বেশি। বেসরকারি ও রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের চেয়ে বিদেশি ব্যাংকে নারী কর্মীর অনুপাত বেশি। দেশের ৬১টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে বর্তমানে একমাত্র নারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক হচ্ছেন ট্রাস্ট ব্যাংকের হুমায়রা আজিম। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, গত ডিসেম্বর শেষে দেশের ৬১ ব্যাংকে ১ লাখ ৯৬ হাজার ১০২ জন জনবলের মধ্যে নারী হচ্ছেন ৩১ হাজার ৯৩৯ জন, যা মোট জনবলের ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। ১ বছর আগে ২০২১ সালে এ হার ছিল ১৬ দশমিক ০৩ শতাংশ বা ৩০ হাজার ১৪১ জন। তখন এ খাতে মোট জনবলের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৮ হাজার ১৯ জন। সেই হিসাবে এক বছরে ব্যাংকিং খাতে মোট জনবল বেড়েছে ৮ হাজার ৮৩ জন বা ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। অন্যদিকে নারী কর্মীর সংখ্যা বছরের ব্যবধানে বেড়েছে এক হাজার ৭৯৮ জন বা ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত ও ব্যাংক পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে পরিচালনা পর্ষদ। সেখানে নারীর উপস্থিতি ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ।
এখানেও বিদেশি ব্যাংকের অবস্থান জোরালো। বেসরকারি ব্যাংকে পরিচালক পর্ষদে নারী উপস্থিতি ১৪ দশমিক ৭১ শতাংশ হলেও রাষ্ট্রীয় ব্যাংকে তা ১০ শতাংশের ঘরে এবং বিদেশি ব্যাংকে এ হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি বাস্তবায়নের ১৭টি অভীষ্টের পঞ্চম হচ্ছে লৈঙ্গিক সমতা। এ সমতা সূচকে ওয়ার্ল্ড ইকোনিক ফোরামের ২০২২ সালের প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭১তম। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লৈঙ্গিক সমতা জরুরি বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।