‘প্রযুক্তির মাধ্যমে মায়ের হাতে উপবৃত্তি পৌঁছে দেয়াটা অসাধারণ কাজ’
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মায়ের হাতে উপবৃত্তি পৌঁছে দেয়াটা একটা অসাধারণ কাজ হয়েছে। আমি আশ্বস্ত করব, নগদ-এর দিক থেকে যতভাবে সম্ভব যতটা ত্রুটিহীনভাবে করা সম্ভব, সেই চেষ্টাটা করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, মন্ত্রণালয়ের দিক থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে একটু সচেতন যদি করে দেন, যাতে গ্রাম পর্যায়ে মায়েরা এসব প্রতারকের ফাঁদে না পড়ে, তাহলে আমার মনে হয় এটাকে একেবারে ত্রুটিহীনভাবে করা যেতে পারে।’
গতকাল বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ডাক অধিদপ্তর ও নগদ লিমিটেডের সঙ্গে ৫ বছর মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি বলব ১২ এপ্রিল, বুধবার নগদ-এর জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন, কারণ আগামী ৫ বছরের জন্য প্রাথমিকের উপবৃত্তি বিতরণের খবর পাওয়া ১২ এপ্রিল নগদ-এর জন্য বড় ঘটনা।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নগদ-এর মাধ্যমে উপবৃত্তি দেয়ার জন্য ৫ বছরের জন্য চুক্তি করেছি, এর মধ্যে মূল্যায়নও আছে, আমরা মূল্যায়নও করব। আমাদের দেখভালের ব্যবস্থা করব, নগদ যাতে বিকাশ বা শিওর ক্যাশের মতো আমাদের কষ্ট না দেয়, সেটাই আশা করব।’ চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ২০২৬-২৭ অর্থ বছর পর্যন্ত মধ্য মেয়াদে পারফরমেন্স মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের শর্তে ৫ বছরের জন্য নগদ লিমিটেডের মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাথে ডাক অধিদপ্তর ও নগদ লিমিটেডের চুক্তি সম্পাদন হয়। চুক্তির বিষয়ে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘সরকারের উপবৃত্তি বিতরণের ফলে এখন শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার অনেক প্রাথমিক শিক্ষায় উপবৃত্তি বিতরণে ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ হিসেবে আগের মতো ধারাবাহিকতা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে প্রাথমিক শিক্ষার উপবৃত্তি বিতরণ করবে নগদ লিমিটেড। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) শাহ রেজওয়ান হায়াত, ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. ছালেহ আহাম্মদ ও নগদ-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. হারুনুর রশীদ, নগদ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মধ্যে একটি বিষয়ে ধারণা চুক্তি থেকে জানা যায়, প্রতি অর্থবছরে ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার জন্য দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ করছে। এতে পরিচালন বাজেটে প্রতি অর্থবছর প্রায় ২০০০ কোটি বিতরণ করা হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণের জন্য ১২ এপ্রিল ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি সম্পাদিত হলো।