ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভারতের বাজার মাথায় রেখে বাংলাদেশে শিল্পকেন্দ্র গড়ার প্রস্তাব জাপানের

ভারতের বাজার মাথায় রেখে বাংলাদেশে শিল্পকেন্দ্র গড়ার প্রস্তাব জাপানের

বাংলাদেশে একটি শিল্পকেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছে জাপান, যেখানে বন্দর ও পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে ভারতের স্থলবেষ্টিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানে পণ্য সরবরাহের ‘সাপ্লাই চেইন’ তৈরি করা যাবে। গত মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ভারত সফরের পর এই প্রস্তাব এল। সেখানে তিনি বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চল এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে নতুন একটি শিল্প কেন্দ্র গড়ার ভাবনার কথা বলেন, যা ৩০ কোটি মানুষের এ অঞ্চলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। কিশিদার ওই সফরের পর তার সরকার বাংলাদেশে তিনটি অবকাঠামো প্রকল্পে ১.২৭ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দরও রয়েছে, যেখান থেকে ত্রিপুরাসহ ভারতের স্থলবেষ্টিত রাজ্যগুলো এবং আরো বড় আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য পরিবহণ সম্ভব। ভারতে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোশি সুজুকি গত মঙ্গলবার ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় ভারতীয়, বাংলাদেশি এবং জাপানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে শিল্প কেন্দ্র গড়ে তোলার ওই প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, ‘এটা ভারত ও বাংলাদেশ সবার জন্যই লাভজনক হতে পারে।’ তিনি বলেন, মাতারবাড়ির গভীর সমুদ্রবন্দরটি ২০২৭ সাল নাগাদ চালু হতে পারে। আর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে যুক্ত করে একটি শিল্প কেন্দ্র গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ বন্দর মূল ভূমিকা রাখতে পারে। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি বৈঠকে জাপানের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এ পরিকল্পনা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে এবং জাপান ও অন্যান্য দেশের বিনিয়োগ আনতে সহায়ক হতে পারে। নির্মাণাধীন মাতারবাড়ি বন্দর হবে বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর, যেখানে বড় আকারের জাহাজ ভিড়তে পারবে। ওই সমুদ্রবন্দর থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দূরত্ব একশ কিলোমিটারের মত। ফলে এ বন্দর আঞ্চলিক রপ্তানিকারকদের জন্য একটি প্রবেশদ্বার হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেন দুই দিনের এ বৈঠকের আয়োজক, গবেষণা সংস্থা এশিয়ান কনফ্লুয়েন্সের প্রধান সব্যসাচী দত্ত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত