১২৫ টন পোড়া ভোজ্যতেল সংগ্রহ তৈরি হচ্ছে বায়োডিজেল গ্লিসারিন

প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

পোড়া ভোজ্যতেল মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশেষ করে অল্প বয়সে হার্টের রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি রয়েছে। পোড়া এ তেল কোনোভাবেই রি-ইউজ (পুনর্ব্যবহার) না করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাহলে এ তেল দিয়ে কি হবে? সুসংবাদ হলো ফেলে দেয়া এ পোড়া তেল দিয়েই এখন তৈরি হচ্ছে মূল্যবান বায়োডিজেল, গ্লিসারিনসহ বিভিন্ন পণ্য, যা দেশকে এনে দিচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। পোড়া এ ভোজ্যতেল সংগ্রহ করছে দেশি-বিদেশি দুটি প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো- বহুজাতিক কোম্পানি মুনজার বাংলা প্রাইভেট লিমিটেড এবং বায়োটেক এনার্জি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠান দুটি মার্চ ও এপ্রিলের ১১ তারিখ পর্যন্ত ১২৫ টন পোড়া ভোজ্যতেল সংগ্রহ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার বলেন, মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পোড়া তেল সংগ্রহ করছে দুটি প্রতিষ্ঠান- মুনজের ও বায়োটেক। তারা ঢাকাসহ পর্যটন নগরী কুয়াকাটা ও কক্সবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পোড়া তেল সংগ্রহ করছে। মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে মুনজের ৮৫ টন ও বায়োটেক ৪০ টন পোড়া তেল সংগ্রহ করেছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রমজানে পাঁচটি মনিটরিং বুথ স্থাপন করা হয়েছে। চকবাজার, তালতলা, আগারগাঁও, বেইলি রোড ও মোহাম্মদপুর এলাকায় এসব বুথ থেকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের লিফলেট, পোস্টার ও পুস্তিকা বিতরণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বুথে র‍্যাপিড টেস্ট কিট ও হাইজিন কিটের সাহায্যে খাদ্যদ্রব্য ও স্বাস্থ্যবিধি পরীক্ষা করা এবং একজন কর্মকর্তা ও দুইজন কর্মচারী সার্বক্ষণিক বুথে দায়িত্ব পালন করছেন। পাঁচটি মনিটরিং বুথ ছাড়াও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম চলমান আছে। রমজান উপলক্ষ্যে গত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এছাড়া চলতি অর্থবছরে মোট ১৪৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয় এবং ১১৭টি মামলা করা হয়। এসব ভ্রাম্যমাণ আদালতে মোট জরিমানার পরিমাণ ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানান, ২০২৩ সালের প্রাথমিক পর্যায়ের বিজ্ঞান বইয়ের খাদ্যবিষয়ক অধ্যায়গুলোতে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কনটেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৪ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ের বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।