ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈদের আগে চড়া মশলার বাজার

ঈদের আগে চড়া মশলার বাজার

মুসলমানদেন ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দাম বেড়েছে মসলা জাতীয় পণ্যের। বিক্রেতারা বলছেন, তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দাম রাখতে হচ্ছে। আর, ক্রেতারা বলছেন ঈদের আগে সব সময় মসলার দাম বিনা কারণে বেড়ে যায়। গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। কারওয়ান বাজারের পাইকারি ও খুচরো মসলার দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বড় এলাচ প্রতি কেজি ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি এলাচ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, ছোট এলাচ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় জিরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মসলার মধ্যে লবঙ্গ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ৯৫০-১০০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, দারুচিনি ৪১০ থেকে ৫২০ টাকা, ধনিয়া ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, সরিষা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মেথি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, তেজপাতা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, মিষ্টি জিরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কালিজিরা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিটি মসলা গড়ে ১০ থেকে ১০০ টাকা কেজি প্রতি বেড়েছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে। জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের পাইকারি মসলা ব্যবসায়ী হারুন-উর রশিদ বলেন, ‘মসলা আমরা কিনেছি বাড়তি দামে। তাই বিক্রি করতে হচ্ছে কিছুটা বেশি দামেই। আর, ঈদের আগে বাজার একটু চড়া-ই থাকে।

এদিকে, বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, দেশি রসুন ৭০ থেকে ১০০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ১২০ টাকা, দেশি শুকনা মরিচ ৩৯০ থেকে ৪৪০ টাকা, আমদানি করা শুকনা মরিচ ৪২০ থেকে ৪৬০ টাকা, দেশি হলুদ ২২০ থেকে ২৯০ টাকা, আমদানি করা হলুদ ১৯০ থেকে ২৩০ টাকা, দেশি আদা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৩০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমান বাজারে খোসাযুক্ত চীনাবাদাম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। তবে খোসাবিহীন বাদাম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কাঠবাদাম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, পেস্তাবাদাম ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা, কাজুবাদাম মানভেদে ৯০০-১০০০ টাকা, আখরোট ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা, মিষ্টি আলুবোখারা কেজিপ্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টক আলুবোখারা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, কিসমিস ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কালো কিসমিস ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা ও নারিকেল জোড়া ১০০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত