তিন কর্মদিবস পতন আর দুই কর্মদিবস উত্থানের মধ্যদিয়ে এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। এ সপ্তাহে যেসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।
বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমার সপ্তাহেও দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন (পুঁজি) বেড়েছে ১১৪ কোটি ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৭৭৪ টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে। প্রায় একই চিত্র দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। ৯ এপ্রিল সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬২ হাজার ৯১১ কোটি ৯৮ লাখ ৫৬ হাজার ১৫১ টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৬ কোটি ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৯২৫ টাকা। অর্থাৎ, টাকার অঙ্কে পুঁজি বেড়েছে ১১৪ কোটি ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৭৭৪ টাকা। গেল সপ্তাহে মোট পাঁচ কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে মোট ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৮৪টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩৮টির। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৭৬টির, কমেছিল ৫৮টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। তাতে বিদায়ি সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩ দশমিক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এ সপ্তাহে ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ার লেনদেন হয়নি ২ শতাধিক কোম্পানির। এ কারণে লেনদেন হওয়া বড় বড় কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। বিদায়ি সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৩৬ কোটি ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯৮ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮৯৩ কোটি ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৮ টাকা। অর্থাৎ ৬৫৭ কোটি ২৬ লাখ ৪২ হাজার ২৮৭ টাকার শেয়ার লেনদেন কমেছে, শতাংশের হিসাবে ২২ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে।
গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আমরা নেটওয়ার্কসের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে, জেনেক্স ইনফোসিস, জেমিনি সি ফুড, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার, এপেক্স ফুটওয়্যার, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ইউনিক হোটেল, ওনিয়ন ইনফিউশন এবং অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রজ লিমিটেডের শেয়ার। দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে লেনদেনেও প্রায় একই চিত্র ছিল।