ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাড়ছে আইসক্রিমের চাহিদা

বাড়ছে আইসক্রিমের চাহিদা

তীব্র তাপদহে জনজীবন বিপর্যস্ত। প্রতিদিনই রেকর্ড গড়ছে তাপমাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে ঠান্ডাজাতীয় খাবারের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। এর মধ্যে আবার রমজান মাস। তাই তরমুজ-ডাবের পাশাপাশি বেড়েছে আইসক্রিমের চাহিদা। যদিও অন্য বছর রোজায় আইসক্রিমের চাহিদা থাকে কম। সারাদিন রোজার কারণে আইসক্রিমের তেমন চাহিদা থাকে না। তবে এবছর একেবারেই ভিন্ন চিত্র। অন্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি চলছে আইসক্রিম। ফলে বাড়তি উৎপাদন করছে কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশে মূলত ইগলু, পোলার, সেভয়, লাভেলো, কোয়ালিটি, জা এন জি, মিল্কভিটা আইসক্রিম উৎপাদন করে।

ইগলু আইসক্রিমের জ্যেষ্ঠ ব্র্যান্ড ম্যানেজার সুমিত চক্রবর্তী বলেন, রোজায় আইসক্রিম বিক্রি কম থাকে। কারণ, আইসক্রিমের ৬০-৬৫ শতাংশ বিক্রি হয় ইমপালস আইটেম। আর ইমপালস আইটেম বলতে আমরা বুঝি- কাপ, কোন, চকবার এগুলো। যেগুলো মানুষ সচরাচর রাস্তায় দাঁড়িয়ে খায়, বা কোনো জার্নিতে খায়। আর বাকি ৩৫ ভাগ বিক্রি হয় লিটার আইটেম, যেটা মূলত ঘরে যায়। যেহেতু রোজার ব্যাপার রয়েছে, তাই ইমপালস আইটেম তুলনামূলকভাবে বিক্রি কমে যায়। কারণ, দিনে মানুষ রোজা রাখে। যদিও ইফতারের পর কিছুটা বিক্রি হয়। তবে লিটার আইসক্রিমের বিক্রিটা অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন বেশি হচ্ছে। আমরা এখন প্রতিদিন দেড় থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার লিটার আইসক্রিম সরবরাহ করছি। আগের চেয়ে এবার বিক্রি বেশি। তিনি জানান, সামনে ঈদ চলে এসেছে। বাংলাদেশের দূর-দূরান্তের যেসব ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছেন, ঈদে যে প্রয়োজন সেটা তারা নিয়ে নেন। কারণ, র অনেক সময় রাস্তাঘাটে যানজটে পড়ে যায়, নেয়া মুশকিল হয়ে পড়ে।

রাজধানীর খিলগাঁও সিপাহিবাগ-ভূঁইয়াপাড়া এনএন জেনারেল স্টোরের মো. মহসিন আলী বলেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় এবার আইসক্রিম বেশি বিক্রি হচ্ছে। বাচ্চারা তো সারাদিনই কোন, চকবার আর কাপ আইসক্রিম নিচ্ছে। আর বড়রা অধিকাংশ লিটারের আইসক্রিম নিচ্ছে ইফতারের পর খাওয়ার জন্য। এছাড়া ইফতারের পর অনেকে নামাজ শেষে এসে আইসক্রিম কিনে খাচ্ছেন। আমার দোকানে আইসক্রিমের বিক্রি আগের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়েছে। এদিকে আইসক্রিমের কাঁচামাল না থাকায় উৎপাদন বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্কভিটা)। তীব্র গরমে আইসক্রিমের চাহিদা থাকলেও তা উৎপাদন করতে পারছেন না তারা। তবে দুধ উৎপাদনে বাড়তি জোর দিচ্ছে মিল্কভিটা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইসক্রিমের শতকরা ৯৫ ভাগ কাঁচামাল সেটি ইম্পোর্টেড। দেশে যে কোয়ালিটির আইসক্রিম উৎপাদন হয় তা লোকাল কাঁচামাল দিয়ে হয় না। ডলার ক্রাইসিসের কারণে বিভিন্ন ব্যাংক এলসি দিতে সমস্যা করছে গত কিছুদিন ধরে। সবাই এই সমস্যার সম্মুখীন। ফলে অনেকে সঙ্কটে পড়ে যাচ্ছে কাঁচামালের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিল্কভিটার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এখন আমরা আইসক্রিম উৎপাদন করছি না, বন্ধ করে রেখেছি। তবে দুধ উৎপাদনে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আগে মার্কেটের ডিমান্ডের ওপর ভিত্তি করে আইসক্রিম উৎপাদন করতাম। এখন ম্যাটেরিয়ালস সংকর কারণে উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত