পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার ও অন্যান্য খাতের আরো ২ হাজার ১০০টি কারখানার শ্রমিকদের ছুটি দেয়া হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৬৬৬টি কলকারখানায় ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পাঞ্চল পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। শিল্পাঞ্চল পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, দেশের মোট ৯ হাজার ৬১৬টি কারখানায় শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা পর্যন্ত তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানাসহ মোট ৩ হাজার ৬৬৬টি কারখানায় শ্রমিকদের ঈদের ছুটি দেয়া হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ও বুধবার (১৯ এপ্রিল) এই দুই দিনে মোট ১ হাজার ৫৬৬টি কারখানায় ঈদের ছুটি দেয়া হয়েছে। শিল্প পুলিশ বলেছে, কাজের প্রচণ্ড চাপ থাকায় এ বছর ৭৯টি কারখানায় ঈদের ছুটি দেয়া হয়নি। তবে পরবর্তীতে ওই সব কারখানার শ্রমিকরা ঈদের ছুটি কাটাতে পারবেন। সূত্র জানায়, দেশের আটটি শিল্পাঞ্চলের মধ্যে ১ নম্বর অঞ্চল আশুলিয়ায় ১ হাজার ৭৯২টি কারখানার মধ্যে ৩৫৮টি কারখানায় ঈদের ছুটি দেয়া হয়েছে। ২ নম্বর অঞ্চল গাজীপুরে ২ হাজার ৩৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৭০টি কারখানায় ঈদের ছুটি দেয়া হয়েছে।
একইভাবে ৩ নম্বর অঞ্চল চট্টগ্রামে এক হাজার ৪৮০টি কারখানার মধ্যে ১ হাজার ১২৪টি কারখানায় ঈদের ছুটি দেয়া হয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ২ হাজার ২০৭টির মধ্যে ৬৩০টি, ময়মনসিংহে ৪৯টি, খুলনায় ৪১০টি ও সিলেটের ১২৫টি কারখানায় ঈদের ছুটি দেয়া হয়েছে।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার অফিস শেষে আজ শুক্রবার থেকে বাকি সব কারখানায় ছুটি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা নেতারা। তারা বলেছেন, একসঙ্গে সব কলকারখানা ছুটি হলে বাড়ি ফেরা নিয়ে শ্রমিকদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। তাই কারখানা মালিকদের অনুরোধ করা হয়েছে ধাপে ধাপে ও আগে পরে করে ছুটি দিয়ে দেয়ার জন্য। কারখানা মালিকরাও সেই নির্দেশনা অনুসারে বেতন-বোনাস দিয়ে শ্রমিকদের ঈদের ছুটি ঘোষণা করছেন।