হাজার কোটি টাকার তহবিল চান পোলট্রি খাতের ক্ষুদ্র খামারিরা

প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

পোলট্রি খাতে অস্থিরা বিরাজ করছে। গত দুই মাসে ব্রয়লার মুরগির দাম উঠা-নামার মধ্যদিয়ে পার হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভোক্তা বা ক্রেতারা। এদিকে ঈদের আগে বাজারে আরেক দফা বাড়ে ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে প্রান্তিক খামারিদের অভিযোগ, তারা মুরগির ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। অথচ মুরগির খাবারের দামও বেড়েছে। তাতে এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক খামার। এই অবস্থায় মুরগির বাজার স্থিতিশীল রাখতে ১ হাজার কোটি টাকার তহবিল চান প্রান্তিক খামারিরা।

দেশের প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) গত রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তহবিলের দাবি জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, বর্তমানে সারা দেশে ৬০ হাজার খামার টিকে আছে। এরই মধ্যে যেসব খামারি লোকসানে ব্যবসা ছেড়েছেন, তাঁদের ব্যবসায় ফিরিয়ে আনতে হলে সহজ শর্তে ঋণসুবিধা দিতে হবে। সেজন্য এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের প্রস্তাব করেছে বিপিএ। বিপিএ বলেছে, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা গড়ে ১০ লাখ টাকার ঋণে রয়েছেন। তাতে এ খাতের খামারিদের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। এ ঋণ পরিশোধে তহবিল সুবিধা চেয়েছে সংগঠনটি। পাশাপাশি তারা পোলট্রি বোর্ড গঠনেরও দাবি জানায়। এ বোর্ডের মাধ্যমে পোলট্রি ফিড ও বাচ্চার উৎপাদন খরচ হিসাব করে কত লাভে কোম্পানিগুলো তা বাজারজাত করতে পারবে, সেটি নির্ধারণেরও প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।

এদিকে এক সপ্তাহের কম সময়ের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। আর সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, গত রোববার বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায়। গত সপ্তাহের শুরুতে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ২১০ টাকা। আর সোনালি মুরগির দাম ছিল ৩৩০ টাকা। রোজা শুরুর আগেও মুরগির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছিল। তখন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম উঠেছিল ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। পরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মধ্যস্থতায় দেশের পোলট্রি খাতের চারটি বড় কোম্পানি রোজা চলাকালে পাইকারিতে ১৯৫ টাকার মধ্যে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রির ঘোষণা দেয়। এর পরই বাজারে মুরগির দাম কমে ২০০ থেকে ২১০ টাকায় নেমে আসে।