ব্যাংকপাড়ায় ঈদের আমেজ

প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

ঈদের টানা পাঁচ দিন ছুটির পর গতকাল সোমবার ব্যাংক-বিমা ও অন্যান্য সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। ব্যাংক পাড়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এখনো ঈদের আমেজ বিরাজ করে। তবে গ্রাহকদের উপস্থিতি ছিল কম। গতকাল রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা ঘুরে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।

ঈদের ছুটির পর প্রথম দিন ব্যাংক পাড়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের কুশল বিনিময় করে সময় অতিবাহিত করেন। এছাড়া ব্যস্ততা কম থাকায় অনেকেই অলস সময় পাড় করেন। কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটিতে থাকায় চেয়ার টেবিল অনেকটা ফাঁকা পড়ে ছিল। গ্রাহকদের উপস্থিতি কম থাকায় লেনদেনও চলে ঢিলেঢালা। ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপাকালে তারা জানান, ঈদের ছুটির পর গতকাল ব্যাংক খুললেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি স্বাভাবিকের তুলনায় কম। অনেকেই ঈদের পর ২৪ এপ্রিল থেকে এক দুই দিন ব্যক্তিগত ছুটি নিয়েছেন। এছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় বড় ধরনের কোনো লেনদেন হয়নি, যা হয়েছে, তা ছোট ছোট লেনদেন। আগামী সপ্তাহ থেকে ব্যাংকগুলোতে পুরোপুরি লেনদেন শুরু হবে বলে আশা করেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘ঈদের ছুটির পর প্রথম দিন অফিস ও লেনদেন কার্যক্রম ঢিলেঢালা চলছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় বড় ধরনের কোনো লেনদেন হচ্ছে না। তবে ছোট্ট লেনদেন হলেও গ্রাহকদের চাপ কম।’ তিনি আরও জানান, কর্মকর্তাদের মধ্যে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের আমেজেই কেটেছে গত সোমবার। এছাড়া কর্মকর্তারা ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কিছু কাজে ব্যস্ত সময় কটাচ্ছেন।

রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ইকবাল হুসাইনের বলেন, ‘সোমবার ঈদের পর প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় গ্রাহকের উপস্থিতি খুবই কম। আমাদের অনেক কর্মকর্তাও ছুটিতে আছেন। দুয়েক দিনের মধ্যে আবারো ব্যাংকগুলোয় লেনদেনে আগের চিত্র ফিরে আসবে।’

সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা পারভেজ বলেন, ‘গ্রাহক উপস্থিতি কম থাকায় সময়ের ফাঁকে ফাঁকে একে অন্যের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা সেরে নিচ্ছেন সবাই। এতে নিজেদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় হয়। যদিও কাল-পরশু থেকে এ সুযোগ পাওয়া যাবে না, লেনদেন পুরোদমে চলবে।’

অন্যান্য ব্যাংকের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের চিত্রও একই। অনেক কর্মকর্তা ছুটিতে থাকায় উপস্থিতি কম ছিল। এদিন সকাল থেকেই কর্মকর্তারা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়সহ ঈদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। কে কোথায় ঈদ করলেন, ঈদের দিন কেমন কাটল- এসব বিষয়ে কথা বলেন নিজেদের মধ্যে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিচালক বলেন, ‘একসঙ্গে এক ছাদের নিচে কাজ করলাম এতদিন সবাই। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় না করলে তো হয় না। কে কোথায়, কেমন ঈদ করলেন সেটাও জানা হলো।’ এদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবাই একে-অপরের খোঁজ-খবর নেন। উল্লেখ্য, সাধারণ সময়সূচি অনুযায়ী ব্যাংকগুলোতে লেনদেন হচ্ছে।