নকল সিগারেট উৎপাদন বন্ধ, রাজস্ব আহরণ বাড়ানো এবং টোব্যাকো খাতে কার্যকর মনিটরিং নিশ্চিত করতে সিগারেট পেপারের বাণিজ্যিক আমদানি নিষিদ্ধ করতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আমদানি নিষিদ্ধ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে এনবিআর। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়কে এ অনুরোধ জানায় এনবিআর।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সিগারেট পেপার আমদানির ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে সংস্থাটি মনে করে, সিগারেট পেপারের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে রাজস্ব আদায়ে অধিকতর মনিটরিং করা যাবে। এ খাত থেকে আরও বেশি রাজস্ব আদায় করাও সম্ভব হবে।
জানা যায়, উৎপাদনকারীরা সিগারেট পেপার আমদানিতে ১৭২ দশমিক ২০ শতাংশ হারে কর দেয়। অন্যদিকে বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা ২১২ দশমিক ২০ শতাংশ হারে কর দেয়। করের হার বেশি হলেও বাণিজ্যিকভাবে এ পেপার আমদানি করে এর অপব্যবহার করা হচ্ছে।
সিগারেটের অন্যতম প্রধান উপকরণ তামাক ও সিগারেট পেপারের মধ্যে তামাক সহজেই কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা যায়। তবে বিশেষ ধরনের কাগজ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় না। সিগারেট পেপারের অবাধ আমদানির সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশে অবৈধভাবে সিগারেট উৎপাদন করা হচ্ছে। ফলে বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। হরহামেশা জব্দ করা হচ্ছে নকল সিগারেট।
এ অবস্থায় অবৈধ সিগারেট উৎপাদন বন্ধে শুধু সিগারেট উৎপাদনকারীদের হাতেই পেপার আমদানির এখতিয়ার দিতে চায় এনবিআর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, তামাকের সহজলভ্যতা ও সিগারেট পেপার প্রাপ্তির সুযোগ কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে সিগারেট উৎপাদন হচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিভিন্ন অভিযান সময় চালিয়ে তামাক ও সিগারেট পেপার জব্দও করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। অভিযান চালিয়ে অবৈধ কারখানাও খুঁজে পেয়েছে এনবিআর।
তিনি বলেন, সিগারেট পেপার আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বৈধ টোব্যাকো ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। এ অবস্থায় মনিটরিং বাড়াতে সিগারেট পেপার আমদানি নিয়ন্ত্রণ জরুরি।