৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন

এ মৌসুমে মোট উৎপাদন ১৮ লাখ ৩৯ হাজার টন

প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

চলতি মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদনে রেকর্ড হয়েছে। গত মঙ্গলবার ১০ হাজার ৯৩০ টন লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে এ মৌসুমে মোট লবণ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার টন, যা ৬২ বছরের মধ্যে র্সবোচ্চ। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে আরো বলা হয়, বিগত বছরে লবণ উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার টন। চলতি লবণ মৌসুমে মোট লবণ চাষকৃত জমির পরিমাণ ৬৬ হাজার ৪২৪ একর, গত বছর ছিল ৬৩ হাজার ২৯১ একর। বিসিকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ হাজার ১৩৩ একর। চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন, যা গত বছর ছিল ৩৭ হাজার ২৩১ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ২৩৬ জন।

এতে বলা হয়, ১৯৬১ সাল থেকে বিসিকের মাধ্যমেই দেশে পরিকল্পিতভাবে লবণ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিকের লবণ শিল্পের উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যালয়ের আওতাধীন ১২টি লবণ কেন্দ্রের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার সব উপজেলায় এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ চাষের জন্য লবণ চাষিদের প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদান এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হয়। বিসিক জানিয়েছে, লবণ আমদানি না করে দেশে লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে চলতি লবণ মৌসুমে এক মাস আগেই লবণ চাষিদেরকে মাঠে নামানো হয়। চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২০ লাখ টনের বেশি লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

লবণ চাষিদের ঋণসীমা বাড়ল : লবণ চাষিদের ঋণসীমা বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে একরপ্রতি লবণ চাষে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ টাকা ঋণ পাবেন চাষিরা। এতদিন এই ঋণসীমা ছিল ৪৪ হাজার টাকা। এ হিসাবে লবণ চাষিদের ঋণসীমা বাড়ল সাড়ে তিনগুণ। লবণ চাষিরা ২০১০ সাল থেকেই ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদহারে ঋণ নিতে পাচ্ছেন। ওই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, অবশিষ্ট ৪ শতাংশ সুদ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দিয়ে আসছে ব্যাংকগুলোকে।

জনপ্রতি শূন্য দশমিক ৫ বিঘা থেকে ২ দশমিক ৫ একর পর্যন্ত জমিতে লবণ চাষের জন্য একক বা দলগতভাবে এ ঋণ সুবিধা পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, বিশেষ সুবিধা ও কৃষকের ১০ টাকায় খোলা ব্যাংক হিসাবে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড ছাড়া লবণ চাষিদের শনাক্তকরণের অন্য কোনো কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে না। বিতরণ করা ঋণের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে কোনো ঋণ সম্পূর্ণ বা আংশিক অনাদায়ী থাকলে রেয়াতি সুদ পাবে না। এক্ষেত্রে ঋণ বিতরণের তারিখ থেকে ব্যাংক নির্ধারিত স্বাভাবিক সুদহার প্রযোজ্য হবে। ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ১২ মাস। আর কোনো ব্যাংক কৃষকের কাছ থেকে ৪ শতাংশের বেশি সুদ নিলে ওই ঋণের বিপরীতে ভুর্তকি সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে। ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।