শেয়ারবাজারে মূল্য সংশোধন
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
টানা ৯ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল রোববার দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। পাশাপাশি দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে দ্বিগুণের বেশি প্রতিষ্ঠান।
পতনের বাজারে ছিল ক্রেতা সংকটও। এতে বড় হয়েছে ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) আটকানো প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। নতুন করে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসে এসে ঠেকেছে। একই সঙ্গে ফ্লোর প্রাইসের ওপরে থাকা চারটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম একদিনে যতটা কমা সম্ভব ততটাই কমেছে।
ঈদের আগে ও পরে মিলিয়ে টানা ৯ কার্যদিবস মূল্যসূচক বাড়ে। একই সঙ্গে বাড়ে লেনদেনের গতি। গত বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন হয়। এর পরেই শেয়ারবাজারে এই দরপতন দেখা গেলো। তবে এই দরপতনকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা।
তারা বলেছেন, টানা ৯ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার কারণে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়ে গেছে। এতে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এর ফলে বাজারে বিক্রির চাপ আসে। এই বিক্রির চাপের কারণেই দরপতন হয়েছে। এটি স্বাভাবিক দরপতন।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসই’র প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের শুরুতে দেখা দেয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আধাঘণ্টাও স্থায়ী হয়নি।