চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে মুনাফা কমেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার গ্রুপের তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড ও স্কয়ার টেক্সটাইলস লিমিটেডের।
কোম্পানি দুটির ২০২২-২৩ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। এতে দেখা গেছে, জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কর-পরবর্তী নিট মুনাফা কমেছে। বিদ্যুতের অভাব, তেল ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর অবচয় এবং পরিচালনা ব্যয় বাড়ায় কোম্পানি দুটির মুনাফা কমেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮৩ পয়সা, যা ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ১৫ পয়সা। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চে মুনাফা কমেছে।
আর চলতি অর্থবছরের তিন প্রান্তিক তথা জুলাই ২০২২ থেকে মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৮২ পয়সা, যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ১৬ টাকা ৩ পয়সা। সেই হিসাবে আগের বছরের চেয়ে মুনাফা বেড়েছে।
ফলে টাকার অঙ্কে তিন প্রান্তিকে কোম্পানির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৪৯০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। যেখানে এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ১ হাজার ৪২১ কোটি ৫ লাখ টাকা। মুনাফা বাড়ায় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএনভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২৩ টাকা ৩৩ পয়সায়, যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা।
অপরদিকে স্কয়ার টেক্সটাইলসের ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে (ইপিএস) ১ টাকা ৩১ পয়সা, যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৪৭ পয়সা। অর্থাৎ ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের তুলনায় ২০২৩ সালের একই সময়ে মুনাফা কমেছে।
শুধু চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকেই নয়, গত তিন প্রান্তিক মিলে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১৩ পয়সা, যা ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭ টাকা ১৫ পয়সা। অর্থাৎ জুলাই থেকে মার্চ সময়ে মুনাফা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
সব মিলিয়ে চলতি বছরের তিন প্রান্তিকে কোম্পানির কর-পরবর্তী প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ৮১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। যেখানে এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে প্রকৃত মুনাফা ছিল ১৪১ কোটি ৬ লাখ টাকা। কোম্পানি সূত্র বলছে, বিদ্যুতের অভাব, গ্যাসের ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সুতার দাম বৃদ্ধির কারণে কোম্পানির উৎপাদন কমেছে। সে জন্য মুনাফাও কমেছে।