শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালের ব্যবসায় শুধুমাত্র বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া মুনাফার ৩০ শতাংশের কম লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এজন্য ব্যাংকটিকে ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার অতিরিক্ত করের শাস্তির কবলে পড়তে হবে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি কোনো অর্থবছরে নগদ লভ্যাংশের বেশি বোনাস শেয়ার দিতে পারবে না। অর্থাৎ, বোনাস লভ্যাংশ সর্বোচ্চ নগদের সমান সমান হতে পারবে। যদি কোনো কোম্পানি বোনাস শেয়ার বেশি দেয়, তাহলে ওই বোনাস শেয়ারের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে।
এছাড়া কোম্পানিগুলোকে মুনাফার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ আকারে শেয়ারহোল্ডারদের দিতে হবে। যদি ৩০ শতাংশের কম দেয়া হয়, তাহলে রিটেইন আর্নিংসে স্থানান্তর করা পুরো অংশ বা কোম্পানিতে রেখে দেয়া পুরোটার ওপরে ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করার বিধান রাখা হয়।
দেখা গেছে, এবি ব্যাংকের ২০২২ সালের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি ০.৮৩ টাকা হিসেবে ৭১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এরমধ্যে থেকে ২ শতাংশ বোনাস শেয়ারবাবদ ১৭ কোটি ২২ লাখ টাকা দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। মুনাফার বাকি ৫৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা বা ৭৬ শতাংশ রিটেইন আর্নিংসে যোগ হবে। কোম্পানিটিকে শুধুমাত্র ওই বোনাস শেয়ার ঘোষণার কারনে ১৭ কোটি ২২ লাখ টাকার বোনাস শেয়ারের ওপর ১০ শতাংশ হারে ১ কোটি ৭২ লাখ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে।
