ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রধানমন্ত্রীর সফরে বাড়বে রিজার্ভ কাটছে ডলার সংকট

প্রধানমন্ত্রীর সফরে বাড়বে রিজার্ভ কাটছে ডলার সংকট

প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশ সফর করছেন। তিনি যেসব দেশে গেছেন, সেসব দেশে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন। এ সফর আমাদের দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। তার সফরের পর রিজার্ভ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজেমি সেন্টারে এসব কথা বলেন ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

তিনি বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আইএমএফ’র ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ডলার পেয়েছি আমরা। এরই মধ্যে আবারও বাংলাদেশ সফর করছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনাও হয়েছে। তবে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের অনুমোদন করা ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির বিষয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। আগামী অক্টোবরে আরো একবার সফর করবে সংস্থাটি। এর পরেই সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

মেজবাউল হক বলেন, আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ এখন রিজার্ভ ধরে রাখা। আমাদের পেমেন্ট আছে, আকুর দায় পরিশোধ হয়েছে। এসব কারণে রিজার্ভ কমছে। এর মাঝে আরো অর্থ সমন্বয় (রপ্তানি আয়, রিজার্ভ) হবে। রিজার্ভ কমছে এটা ঠিক, আবার বাড়বে। মুখপাত্র বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে কোভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। ডলার রেট ছিল, সেটি একটি জায়গায় এসেছে। তবে কোভিড ছাড়া সব চ্যালেঞ্জের মধ্যেই আমরা আছি। তাছাড়া ভূ-রাজনৈতিক কারণেও চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির পর চরম আকারের ডলার সংকটে পড়ে দেশ। যদিও ডলার সাশ্রয়ের নানা উদ্যোগ নেয়া হয়। তবুও রিজার্ভের ওপর চাপ কমছে না। বরং আমদানি বিল পরিশোধে প্রতিনিয়তই রিজার্ভ থেকে বাজারে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন দেশের রিজার্ভ ৩০.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরই মধ্যে চলতি মাসে ১ বিলিয়নের বেশি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধ করা হয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক গত রোববার বন্ধ থাকায় হিসাব সমন্বয়ক দেশের রিজার্ভ থেকে এ হিসাব সমন্বয় হয়নি। তবে হিসাব সমন্বয় হলে অর্থাৎ আকু বিল পরিশোধের পর রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

মুখপাত্র আরো বলেন, বর্তমানে ডলারের একাধিক বিনিময় হার আছে। এগুলোর মধ্যে ব্যবধান ২ শতাংশের মধ্যে এলেই বলা যাবে যে, মুদ্রার একক বিনিময় হার। এটি প্রায় অর্জিত হয়েছে। তবে আরও বেশি সীমার মধ্যে আনার চেষ্টা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশ সফর করছেন। তিনি যেসব দেশে গেছেন সেসব দেশে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন। এ সফর আমাদের দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। তার সফরের পর রিজার্ভ আরো বাড়বে। আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ এখন রিজার্ভ ধরে রাখা। আমাদের পেমেন্ট আছে, আকুর দায় পরিশোধ হয়েছে। এসব কারণে রিজার্ভ কমছে। এর মাঝে আরো অর্থ সমন্বয় (রপ্তানি আয়, রিজার্ভ) হবে। রিজার্ভ কমছে এটা ঠিক, আবার বাড়বে।

আইএমএফের শর্ত নিয়ে মুখপাত্র বলেন, সংস্থাটি যেসব শর্ত দিয়েছে তার বেশিরভাগ পূরণ হয়েছে। তারা এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারপরেও আমাদের জন্য ব্যাপক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব পলিসি নিয়ে এগোচ্ছে। আবার আগামী অক্টোবর পর্যন্ত সময় আছে। আমরা এ সময়ের মধ্যে সব করতে পারব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত