ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানামা ও খালাস কার্যক্রম বন্ধ

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানামা ও খালাস কার্যক্রম বন্ধ

বাংলাদেশের উপকূলের সঙ্গে ক্রমেই দূরত্ব কমে এসছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পণ্য ওঠানো-নামানো ও খালাস কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে। ঢেউয়ের কারণে জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা থাকায় পণ্যবাহী ১৮টি জাহাজ এরই মধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে সাগরে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় যেসব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে নিয়মিত বৈঠকে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বন্দর কর্তৃপক্ষ চারটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। একইভাবে ঘূর্ণিঝঝড় পরবর্তী কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, তার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করার পরই বন্দরের নিজস্ব সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। বন্দরের ইয়ার্ড ও জেটির সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জেটি থেকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে ১৮টি জাহাজ। জেটিতে অবস্থান করা আরো দুটি জাহাজ জোয়ার এলেই সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সাগরে জাহাজগুলো ইঞ্জিন চালু রেখে ঢেউ বা ঝড়ের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়ানোর সুযোগ রয়েছে। যন্ত্রপাতি সুরক্ষিত করা হচ্ছে।

১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুযায়ী চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা অ্যালার্ট-১ জারি করে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৪ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর অ্যালার্ট-২ জারি করে। বিপদ সংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য বন্দরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়। মহাবিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি হলে বন্দর জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সরিয়ে নেয়া হয়। দুর্যোগ মোকাবিলায় কখন কী করতে হবে, তা ঠিক করতে বন্দরের নিজস্ব প্রস্তুতির জন্য এই সতর্কতা জারি করে আসছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত