ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভোমরা স্থলবন্দরে জিরা আমদানি ২৫% কমেছে

ভোমরা স্থলবন্দরে জিরা আমদানি ২৫% কমেছে

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি কমেছে প্রায় ২০-২৫ শতাংশ। আমদানি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা জানান, ভারতে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকা ও দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি কমেছে পণ্যটির। অন্যদিকে আমদানি কমে যাওয়ায় দেশের বাজারে ভারতীয় জিরার দাম ৩০-৪০ শতাংশ বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় দাম বাড়ছে।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে মসলাপণ্য জিরা আমদানি হয়েছে ২ হাজার ১৪৪ টন। যার আমদানি মূল্য ৪০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত জিরা আমদানি হয়েছিল ৩ হাজার ১৯৪ টন। যার আমদানি মূল্য ছিল ৫১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে আমদানি কমেছে ১ হাজার ৫০ টন। ভোমরা স্থলবন্দরে মসলাপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, অন্যান্য মসলাপণ্যের পাশাপাশি বারো মাসই কম-বেশি জিরা আমদানি করা হয়। কিন্তু চলতি বছর আমদানি অনেকাংশে কমে গেছে। এর কারণ ভারতীয় জিরার দাম বেড়ে গেছে। পাশাপাশি সরবরাহ কমে যাওয়ায় পণ্যটির আমদানিও কমেছে।

সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড়বাজারের মসলা ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী আবুল কাসেম জানান, আমদানি কমে যাওয়ায় ভারতীয় জিরার দাম বেড়েছে। গত অর্থবছরের এ সময় ভারতীয় জিরা ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তা গতকাল বেড়ে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। আমদানি কমে যাওয়ায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে কেজিতে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বেড়েছে জিরার দাম। ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত ডেপুটি সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান জানান, জিরা আমদানিতে সরকারের খুব ভালো পরিমাণ রাজস্ব আসে। কিন্তু অর্থবছরের ১০ মাসে পণ্যটির আমদানি কমেছে অন্তত প্রায় ২৫ শতাংশ। ফলে রাজস্ব আয়ও কমেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত