ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আমেরিকায় বাধাহীন রপ্তানি চায় বাংলাদেশ

আমেরিকায় বাধাহীন রপ্তানি চায় বাংলাদেশ

আমেরিকায় পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ বাধাহীন সুবিধা চায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। গতকাল রোববার বিকেলে ইউনাইটেড স্টেট ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্রেনডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাণিজ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে এ সুবিধার কথা জানান তপন কান্তি ঘোষ। বৈঠকে বাণিজ্য, কৃষি, শ্রম ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

ইউএসএ’র কটন থেকে এখানে গার্মেন্টস পণ্য তৈরি করে আবার ইউএসএ’তে এক্সপোর্ট করা হবে- এ ধরনের কোনো ডিমান্ড করেছেন কি না জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব বলেন, গত টিকফা মিটিংয়ে আমরা ফরমালি ডিমান্ড করেছি। এর আগেও বিভিন্ন সময় ইনফরমালি বিজিএমইএ, বিকেএমইএ’র প্রতিনিধিরা যখন ইউএসএ’তে গেছেন তখন হয়তো আলোচনা করেছেন। আগে থেকেই তারা দাবি তুলেছেন। ফরমালি গত ডিসেম্বরে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে বলেছিলাম, ফিউমিকেশনের বিষয়টি আমরা রিলাক্স করবো। কিন্তু তোমাদেরও আমাকে কিছু দিতে হবে। আমরা তোমাদের দিয়ে দিলাম কিন্তু তোমরা বাংলাদেশকে কী দিচ্ছো? এজন্য তাদের বলেছি, তোমাদের কটন যেন বাড়ে আর আমাদের রপ্তানি যেন বাধাহীন হয়। ফিউমিকেশনের ক্ষেত্রে ইউএসএ এবং এর বাইরের দেশগুলোর কটনের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা হচ্ছে ইউএসএ, আর একটা হচ্ছে আদার দ্যান ইউএসএ (অন্যান্য দেশ)। এটা করা হয় সায়েন্টিফিক ফাইন্ডিংস এর ওপর। তো ইউএস কটনের বিষয়ে আমাদের একটা ট্যাকনিক্যাল টিম গিয়ে পরীক্ষা করে আসছে। তারা বলেছে, এটা একটু শিথিল করা যায়। এক্ষেত্রে আমরা একটা সার্টিফিকেট নেবো। কিন্তু অন্য মার্কেটগুলো দেখা হয়নি। তাই এখন ইউএস কটনের ক্ষেত্রে ফিউমিকেশনের দরকার হবে না। তবে অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে এ সিস্টেম রাখা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যদি কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ভিজিট করে যদি নিশ্চিত হয় যে এ ফিউমিকেশনের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, তখন তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আছে। এ ধরনের বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ থাকতে হয়।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত রপ্তানি বাড়ানোর জন্য আলোচনা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও রপ্তানির কথা এসেছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের রপ্তানি বহুমুখীকরণ নিয়ে যে সমস্যা আছে সেটা নিয়ে প্রত্যেক ফোরামে আলোচনা করছি। সেখানে প্লাস্টিক, ফার্সাসিউটিক্যাল, লেদারগুডস, অ্যাগ্রোপ্রসেসিং, জুট এসব বিষয় রয়েছে।

অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা বা জিএসপি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব বলেন, জিএসপি শব্দটি উচ্চারণ হয়নি। তবে প্রিফারেন্স মার্কেট এক্সেস সুবিধাতো চাচ্ছি। এছাড়া ডব্লিউটিএ’তে এলডিসি দেশগুলোর জন্য মার্কেট এক্সেসের যে মেয়াদ বৃদ্ধি, যেমন আমাদের ২০২৬ সালের পড়ে জিএসপি সুবিধা থাকবে না, সেটার জন্য আমরা বলেছি। সেখানে যেন তারা আমাদের সাপোর্ট দেয়।

আমেরিকা যদি আমাদের ডব্লিউটিএ’তে সাপোর্ট দেয় তাহলে অন্য দেশে আমরা সুবিধা পাবো। ডাব্লিউটিএ যদি সিদ্ধান্ত না হয়, অন্য দেশগুলো দেবে না। আমেরিকা যদি না দেয়, (এরপরও) অন্য দেশগুলোতে আমরা পাবো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত