পোশাক শিল্পের মজুরি বোর্ডের প্রথম সভা

মালিক-শ্রমিক পক্ষকে লিখিত প্রস্তাব জমা দেয়ার নির্দেশ

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি হার সুপারিশের জন্য গঠন হওয়া বোর্ডের প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী সভায় শিল্পের মালিক ও শ্রমিক পক্ষকে লিখিত প্রস্তাব জমা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার তোপখানা রোডের ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ নিম্নতম মজুরি বোর্ড গত ৩ মে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১৩৯ ধারা মোতাবেক গার্মেন্টস শিল্পে নিযুক্ত সব শ্রেণির শ্রমিক ও কর্মচারীদের নিম্নতম মজুরি হারের সুপারিশ করার জন্য প্রথম সভার নোটিশ জারি করে। সভা শেষে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, বৈঠকের প্রথম দিনে বোর্ড সদস্যরা মূলত একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সংশ্লিষ্ট মালিক শ্রমিক পক্ষকে আগামী সভায় লিখিত প্রস্তাব জমা দিতে বলা হয়েছে। আগামী সভার তারিখ নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্টদের পরে জানানো হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা জজ লিয়াকত আলী মোল্লা। নিরপেক্ষ সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন। শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মদ। মালিকপক্ষের প্রতিনিধিত্ব করেন বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের উপমহাসচিব মকসুদ বেলাল সিদ্দীকি। বাংলাদেশ শ্রম আইন ও শ্রম বিধি অনুযায়ী, সরকার প্রতি ৫ বছর অন্তর একটি নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করবে এবং এটি একটি নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করবে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে, সরকার মনোনীত বোর্ড প্রতি মাসে ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে একটি নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করে। ২০২২ সালের শুরু থেকে, আরএমজি কর্মীরা দেশে আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতির উল্লেখ করে একটি নতুন মজুরি বোর্ড গঠন এবং মাসিক ন্যূনতম মজুরি হিসাবে ২৪ হাজার টাকা দাবিতে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ করেছে।