প্রথম ২ ঘণ্টা সূচক উত্থান, আর শেষ ২ ঘণ্টা পতনের মধ্যদিয়ে সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস গতকাল বুধবার দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। আগের দিনের মতো গতকালও বিমার পাশাপাশি আইটি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। দরপতন থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি গতকাল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাড়ে ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। বাজারটি গতকাল বুধবার ১ হাজার ১০৯ কোটি ৯৩ লাখ ৭৯ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিনের লেনদেন হয়েছিল ৯২০ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ৮ নভেম্বরের পর গতকাল সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বাজারটিতে। ডিএসইতে ওই দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে মাত্র ১৫ কোটি ১ লাখ টাকা।
ডিএসইর তথ্য মতে, গতকাল ৩৬৪টি প্রতিষ্ঠানের মোট ২৩ কোটি ৩৪ লাখ ৮৬ হাজার ৪৩১টি শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। তার বিপরীতে দাম কমেছে ৯৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের। ফলে এ দিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩০৫ পয়েন্ট পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই ৩০ সূচক দশমিক ৭৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গত মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল নাভানা ফার্মার শেয়ার। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার। এরপর রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার। এছাড়া শীর্ষ ১০-এ ছিল যথাক্রমে ওরিয়ন ইনফিউশন, জেনেক্স ইনফোসিস, জেমেনি সি ফুড, সোনালি লাইফ, চার্টার্ড ইনস্যুরেন্স, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল এবং রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার। এদিকে খাত ওয়ারি লেনদেনের শীর্ষে ছিল বিমা খাত। এ খাতের শেয়ারর কেনা-বেচায় মোট লেনদেনের সাড়ে ২৫ শতাংশ অবদান রেখেছে।