ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা সহায়তা দিল এফবিসিসিআই

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা সহায়তা দিল এফবিসিসিআই

বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য ১ কোটি টাকা প্রদান করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। গতকাল শনিবার সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কাছে “বঙ্গবাজার অগ্নি ক্ষতি সহায় তহবিল”-এ ১ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের কাছে চেক হস্তান্তর করেন। এসময় এফবিসিসিআই সভাপতি ও সার্ক চেম্বারের নতুন সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “যেকোন ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাই ব্যবসায়ীরদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। বঙ্গবাজারে যখন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তখন আমি দেশের বাইরে ছিলাম। সেখানে আগুনের ভয়াবহতা এতটাই যে, সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, কিছুই অবশিষ্ট নেই। সেখানে যাওয়ার পর আমার মনে হয়েছে এই সংকটে আমাদের পক্ষ থেকে সামান্য হলেও সহযোগিতা করা উচিত। সেজন্য আমরা এই এক কোটি টাকা সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’

মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী এই চেক হস্তান্তর করছি আমরা। সরকারের পাশাপাশি সামর্থ্যবান ব্যবসায়ীদের উচিৎ এ ধরনের দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুযোগে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো।’ এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যবসায়ীদের অবশ্যই কমপ্লায়েন্স মেনে ব্যবসা করা উচিৎ। তবে অগ্নিকাণ্ডে পর সব দোষ শুধু ব্যবসায়ীদের না দিয়ে যেসকল প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক ভবন ও কলকারখানার লাইসেন্স প্রদান করে থাকে তারাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত। এধরনের দুর্ঘটনায় সেসব প্রতিষ্ঠানেরও দায় রয়েছে।’ ভবিষ্যতে এ ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে বঙ্গবাজারে পূর্বের মত অবকাঠামো নির্মাণ না করে স্থায়ী ও আধুনিক ভবন নির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। পাশাপাশি রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলোর ব্যাপারে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও মার্কেট কমিটিগুলোকে সচেতন হওয়া ও প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। দেশের কল কারখানাগুলোতে ফায়ার সেফটি নিশ্চিতে সরকারের সঙ্গে এফবিসিসিআই কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাইভেট সেক্টরে ফায়ার সেফটি নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা ফায়ার সেফটি কাউন্সিল গঠন করেছি। এই সেফটি কাউন্সিলের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার কোম্পানি পরিদর্শন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রতিটি কল-কারখানায় অগ্নি-নির্বাপন নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই সেফটি কাউন্সিল সারা দেশে মোট ৪৪ হাজার কোম্পানি ভিজিট করবে। এসময় দোকান ও শপিংমলে ফায়ার সেফটি নিশ্চিতে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ও এফবিসিসিআই ফায়ার সেফটি কাউন্সিলকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, এফবিসিসিআইর পরিচালকবৃন্দ, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত