২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ স্লোগানে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট সুচিন্তিত, জনকল্যাণমুখী ও সাহসী বলে মন্তব্য করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করে সংগঠনটি। সংগঠনের সভাপতি খলিলুর রহমান সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী ঘোষিত বাজেট বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য হলেও প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্ব, সুশাসন, স্বচ্ছ জবাবদিহিতা এবং সদিচ্ছায় তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। দুর্নীতিমুক্ত ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে এ বাজেট বাস্তবায়ন সহায়ক হতে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের জন্য ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৭/২৪ কর্মঘণ্টার যথাযথ বাস্তবায়ন ও সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা গেলে অর্জিত হতে পারে। বিবৃতিতে বলা হয়, নিয়মিত কর প্রদান করা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর বোঝা না বাড়িয়ে নতুন করদাতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব প্রদান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। যেহেতু বিশ্ব অর্থনীতিতে রপ্তানি বাণিজ্য মন্দা, তাই দেশের বৃহৎ বৈদেশিক মুদ্রা আয়কারী পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে শূন্য শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল বন্ডগুলোর আমদানি শুল্ক শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক একত্রে আদায় না করে বন্ডের মাধ্যমে ধাপে ধাপে পরিশোধের সুযোগ রাখলে শিল্পগুলো আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হবে না। অন্যথায় কাস্টমস হাউসে একত্রে শুল্ক পরিশোধ করতে হলে আর্থিক সংকটের কারণে আমদানি হ্রাস পাবে। ফলে শুল্ক আহরণ ও পণ্য উৎপাদন কমে যাবে, যা দেশের জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে ব্যাহত করবে। ‘বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রদানে যে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হবে তার জন্য সরকারের বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি হতে পারে। ঘাটতি মোকাবিলায় বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার দাবি জানাই। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে তদারকি এবং প্রতি তিন মাস অন্তর কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য টার্গেট করে দিলে, সেই টার্গেট মতো কাজ সম্পাদনে ব্যর্থ হলে সেই দপ্তরের প্রয়োজনীয় জবাবদিহিতা থাকবে।