ভ্যাটের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারলে প্রচুর সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তিনি বলেন, সরকার যদি ভ্যাট কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে তাহলে এই খাতে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। আমি সরকারকে বলবো সঠিকভাবে এই কাজটি করতে। কারণ ভ্যাট একটি ভালো ট্যাক্স। গতকাল শনিবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও পিআরআই আয়োজিত বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতি টিকিয়ে রেখেছে কৃষি, শিল্প ও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। তাই বাজেটে সরকার কৃষি খাতে ভর্তুকি দিবে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই
সরকার ভর্তুকি থেকে বের হয়ে আসবে। ভর্তুকি থেকে বের হয়ে আসতে পারাটা অনেক ভালো
একটি ব্যাপার।
পিআরআইর ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ বলেন, বিশ্বের যেসব দেশ সুদের হার বাড়িয়েছে তারা মূল্যস্ফীতি কমাতে সফল হয়েছে। তবে ২০২২ সালে আগস্টে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ছিলো ৯ দশমিক ৫ শতাংশ, যা চলতি বছরের মে মাসে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ২০২২ সালের জুনে থাইল্যান্ডের মূল্যস্ফীতি চিলো ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এটি চলতি বছরের এপ্রিলে নেমে এসেছে ২ দশমিক ৭ শতাংশে। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে থাইল্যান্ড ৬৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি কমাতে সক্ষম হয়েছে। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি ২০২৩ সালের এপ্রিলে ৪ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে, যা এর আগের বছরের জুনে ছিলো ৯ দশমিক ১ শতাংশ। এদিকে যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি ২০২৩ সালের এপ্রিলে ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবরে যার পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৬ শতাংশে। অর্থাৎ আলোচিত এই সময়ের মধ্যে দেশটির মূল্যস্ফীতি কমেছে ৩৪ শতাংশ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে দেশে আমদানির পরিমাণ কিছুটা
কমানো হয়েছে। এতে ডলারের ওপর চাপ কমেছিলো। কারেন্ট একাউন্ট ব্যালেন্সের কিছুটা উন্নতি হলেও ক্যাপিটাল অ্যাকাউন্ট বাড়ানো সম্ভব হয়নি। কারণ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বাড়েনি। তাই আমদানি নিয়ন্ত্রণ কোন স্থায়ী সমাধান না।