বহুল আলোচিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ দফায় দফায় পেছাচ্ছে। গতকাল সোমবার সিআইডি ফের সময়ের আবেদন করায় বাহাত্তর বারের মতো প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়ে দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এই তথ্য জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মামলা হওয়ার পর দফায় দফায় সময় নিয়েও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি সিআইডি। ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে ‘জালিয়াতি করে’ সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। স্থানান্তরিত এসব টাকা ফিলিপিন্সে পাঠানো হয়েছিল। দেশের অভ্যন্তরেরই কোনো একটি চক্রের সহায়তায় এই অর্থ পাচার হয়েছে বলে তখন ধারণা করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা। পরে ওই বছরের ১৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা; অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের ওই মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি। মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। কিন্তু দফায় দফায় সময় নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি সংস্থাটি। প্রতিবেদন জমা দিতে ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দিন ঠিক করেন আদালত। এরপর থেকে দফায় দফায় পিছিয়েছে প্রতিবেদন জমার তারিখ। রিজার্ভ থেকে চুরি হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধার ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানিয়ে ২০২০ সালের ২৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক কাউন্টি সুপ্রিমকোর্টে রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং ১৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ। গত বছরের মার্চে সে মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার খবর আসে সংবাদমাধ্যমে। রিজল ব্যাংক থেকে অর্থ তুলে একটি ক্যাসিনোতে নিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশের পর সেই ক্যাসিনো মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে দেয় ফিলিপিন্স সরকার। বাকি অর্থ উদ্ধারে তেমন অগ্রগতি নেই।